সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। একইসঙ্গে জঙ্গিদের সাপের সঙ্গেও তুলনা করে তাঁর হুঁশিয়ারি, আর একবার ফণা তুললে এবার গর্ত থেকে বের করে মারা হবে। চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির কাছে শক্তি পরীক্ষা। তার আগে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে আজ শুক্রবার প্রতিবেশী এই রাজ্যে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানে ফের একবার অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে তুলে ধরেন তিনি।
এদিন বিহারে দাঁড়িয়ে একদিকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে বার্তা দিলেন অন্যদিকে প্রতিশ্রুতি রাখার কথাও বলেন। মোদী বলেন, ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় দোষী কাউকে ছাড়া হবে না বলে কথা দিয়েছিলাম। আর সেই দেওয়া কথা রেখেছি।” এর আগে বিহারে দাঁড়িয়েই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন,সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামেনি এবং তা থামবেও না। আর তা বলতে গিয়ে পাক মদতপুষ্ঠ জঙ্গিদের সাপের সঙ্গে তুলনা করে কার্যত ঘরে ঢুকে আবারও মেরে আসার বার্তা দেন তিনি।
মোদী বলেন, আবার যদি ফণা তোলার চেষ্টা করে, তাহলে গর্ত থেকে বের করে এনে মারা হবে। পাটনা থেকে প্রায় ১৪০ কিমি দুরে বিহারের কারাকাটে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সভা থেকে ফের একবার অপারেশন সিঁদুরের প্রসংশা করে বলেন, “পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে আসা হয়েছে। সেনাবাহিনীর এহেন বীরত্ব দেখে পাকিস্তান সেনা অভিযান বন্ধের দাবি জানাতে বাধ্য হয়েছে।”
শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, অমিত শাহের বক্তব্যেও অপারেশন সিঁদুরের কথা উঠে এসেছে। জম্মু-কাশ্মীর সফরে রয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার পুঞ্চে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতে যান শাহ। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি সেনাবাহিনীর অপারেশনের কথা তুলে ধরেন।
জানান, এই অভিযানে এমন ক্ষতি হয়েছে সীমান্তের ওপারে তা ঠিক করতে অনেক বছর লেগে যাবে। এমনকী শতাধিকের বেশি পাকসেনা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন। যদিও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে তা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ বিরোধীদের।
