সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠান বড় করে করার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠান করা যেতেই পারে, তবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুমতি মিলবে না।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনে থাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ আবেদন জানান, ২৬ জুন স্ত্রীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চান। বর্তমানে স্বাস্থ্যজনিত কারণে আদালতের রায়ে তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন। তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠান কলকাতা পুরসভার যে কোনো এলাকায় করা যেতে পারে এবং সিবিআই ও সিআরপিএফ সদস্যরাও উপস্থিত থাকতে পারেন।
আদালতে সব্যসাচীর বক্তব্য, “আমি হাউস অ্যারেস্টে আছি, আত্মীয়রা আসছেন, আমি শুধুমাত্র স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করতে চাই। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি কাস্টডিতে ছিলাম, প্যারোলে বেরিয়ে শ্রাদ্ধ করেছিলাম। এবার বড় করে করতে চাই।”
তবে বিচারপতি বলেন, “শ্রাদ্ধ তো মৃত্যুর পরে হয়। এখন যেটা হবে, সেটা বাৎসরিক স্মরণ। আত্মীয়দের নিয়ে বাড়িতেই পালন করুন, তাতে বাধা নেই। কিন্তু বর্ণাঢ্যভাবে করার প্রয়োজন নেই।”
এছাড়াও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আরও একটি আবেদন ছিল, হাউস অ্যারেস্টে থাকলেও তাঁকে কেন প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দিতে হবে? তাঁর বক্তব্য, বাড়িতে তো সিআরপিএফ মোতায়েন রয়েছে।
সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতকে জানান, সুজয়বাবু কিছু ওষুধের ওভারডোজে শরীর খারাপ করেছেন, যদিও এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।
শেষে বিচারপতি জানান, এখন এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিতর্ক আলোচ্য নয়। উনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন। তিনি অনুষ্ঠান করতে পারেন, তবে বড় করে নয়।
সিবিআই ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
