চার বছর বন্ধ রাখার পর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়াং-এ দূতাবাস খুলল নরেন্দ্র মোদীর ভারত। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, পিয়ং ইয়ংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আলিওয়াতি লংকুমার। ফলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ফের কূটনৈতিক কাজকর্ম চালু করছে নয়াদিল্লি।
২০০৮ সালের ব্যাচের আইএফএস অফিসার আলিওয়াতি লংকুমার। বর্তমানে প্যারাগুয়ের ভারতীয় দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ করা হচ্ছে লংকুমারকে। তিনি শীঘ্রই নিজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে আশা বিদেশ মন্ত্রকের।
কোভিড অতিমারী চলাকালীন ২০২১ সালে পিয়ং ইয়ং-এ দূতাবাস বন্ধ করেছিল ভারত। তার আগে পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন অতুল মলহারি গোৎসুর্ভে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই জানা গিয়েছিল, নতুন বছরে ফের পিয়ং ইয়ং-এ ভারতের দূতাবাস চালু হতে পারে। আর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংঘাতের মাঝেই কিমের দেশে দূতাবাস পুনরায় খুলে দিল ভারত। কূটনৈতিক দিক থেকে যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের শর্ত মেনে ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সব রকম ব্যবসা বন্ধ করেছিল ভারত। তবে পিয়ং ইয়ং-এর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি নয়াদিল্লি। যদিও পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করেছিল কিম জং উনের দেশ। তবে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং উত্তর কোরিয়া সফরে গেলে, ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না বলেই আশ্বাস দেয় কিমের দেশ। এরপর উত্তর কোরিয়ায় ত্রাণ-সহ নানান সাহায্যে পাশে দাঁড়ায় ভারতও। আর এবার দীর্ঘ ৪ বছর পর সেখানে ফের দূতাবাস খুলল ভারত।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হোয়াইট হাউস কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই এখন দেখার।