বনগাঁ আদালতের বিচারক সোমা চক্রবর্তীকে হেনস্থার ঘটনায় সাত আইনজীবীকে আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এই মুহূর্তে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বার রশিদের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
আদালত জানায়, পরবর্তীকালে যদি একই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই মামলার সঙ্গে এই মামলাকে সংযুক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাইকোর্টের প্রশাসনিক শাখা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও রায়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল। বনগাঁ আদালতের এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ(ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ২) সোমা চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, সেদিন আদালতের মধ্যেই একাধিক আইনজীবী তাঁকে অপমান ও হেনস্থা করেন। ঘটনার পর তিনি তা লিখিতভাবে জানান জেলা বিচারককে। জেলা বিচারক বিষয়টি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানান। এরপর হাইকোর্ট প্রধান বিচারপতির নির্দেশে ‘স্বতঃপ্রণোদিত’ আদালত অবমাননার মামলা শুরু করে।
শুনানিতে অভিযুক্ত সাতজন আইনজীবী হলফনামা দিয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাঁদের দোষ স্বীকার ও অনুতাপের কথা বিবেচনা করেই এই মুহূর্তে শাস্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। তবে ভবিষ্যতে ফের এমন আচরণ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে কড়া বার্তা দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনজীবীদের এই আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিচারমহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিচারকের প্রতি এমন দুর্ব্যবহারে আদালতের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা।