এবার অমরনাথ যাত্রায় নাশকতার ছক। গোপন সূত্র মারফত এমনই সতর্কবাণী গোয়েন্দাদের কাছে এসে পৌঁছেছে বলে খবর। ৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা। ফের কাশ্মীরের বুকে জঙ্গি হামলা ঘটানো হতে পারে। এমনই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় থানাগুলির কাছে গিয়েছে সতর্কবার্তা। নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে থাকা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট ওরফে টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীই ফের নাশকতার চক্রান্ত চালাচ্ছে।
পহেলগাঁও আবহে ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে অমরনাথ যাত্রার রুট। শয়ে শয়ে নিরাপত্তা আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেক গুরত্বপূর্ণ মোড়ে রাখা হয়েছে ব়্যাপিড রেসপন্স টিম। তবে এরই মাঝে উদ্বেগের খবর। পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীরা এখনও কাশ্মীরের আনাচে কানাচে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। পির পাঞ্জালের জঙ্গলে লুকিয়ে জঙ্গিরা ফের নাশকতার ছক কষতে পারে।
অমরনাথ যাত্রার পথে পহেলগাঁও একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। পবিত্র অমরনাথের গুহা পর্যন্ত পৌঁছতে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার পুণ্যার্থী পহেলগাঁও দিয়ে যাতায়াত করবে। অন্যদিকে বালতালের দিক থেকেও দিনে প্রায় ১৫ হাজার পুণ্যার্থীরা পৌঁছবেন অমরনাথে। এই দ্বিতীয় রুটটিই বেশিরভাগ পুণ্যার্থী বেছে নেন। তাই সেখানেও উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ও সিআরপিএফের ডিজি। এলাকা পরিদর্শন সেরেছেন গোয়েন্দা মহলের শীর্ষ আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথ নো ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাই চলতি বছরে পুণ্যার্থীদের জন্য কোনওরকম হেলকপ্টারের ব্যবস্থা থাকছে না। এমনকী পুণ্যার্থীদের ঘোড়ায় বা পালকি করে যাওয়াও এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। গোটা এলাকা ছোট ছোট সিকিউরিটি জোন হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। একাধিক এজেন্সি হাতে হাত মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কাজ করে চলেছে ভূস্বর্গে।