ইরান এবং ইজরায়েল সংঘাত যখন চরমে, সেই সময় গোটা ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করলেন ভ্লাদিমির পুতিন। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাত থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। এরমধ্যেই পুতিনের এহেন মন্তব্য ঘিরে নতুন বিতর্ক। যার পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইউক্রেনও।
সেন্ট পিটার্সবার্গে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে’ বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিনের মন্তব্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মানুষ আলাদা নয়, দুই দেশের নাগরিক একই। আর তা বলতে গিয রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দাবি, গোটা ইউক্রেনই আমাদের। ইউক্রেনের সমস্ত শহরের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেন।
এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ইউক্রেনের স্বাধীনতা নিয়ে কখনই রাশিয়া সন্দেহ প্রকাশ করেনি। ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে থাকার কথাও জানিয়েছিল। কিন্তু তা থাকেনি বলে দাবি করেন পুতিন। তাঁর কথায়, নিরপেক্ষতা ইউক্রেন বজায় রাখতে পারেনি। এই বিষয়ে পুতিন ফের ইউক্রেনকে শর্ত মনে করে দিয়ে জানিয়েছেন, আমরা ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ চাই না। তবে বাস্তবতাটা মানতে হবে। একই সঙ্গে ন্যাটোতে যাতে ইউক্রেন যোগ না দেয় সেই কথাটাও ফের একবার মনে করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
যদিও পুতিনের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহার কথায়, এহেন মন্তব্য ‘পাগলের প্রলাপ’ ছাড়া আর কিছু নেই। এক্স মাধ্যমে(আগে-টুইটার ) তাঁর দাবি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক। আর এহেন মন্তব্যের পর কীভাবে শান্তির আলোচনা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ইউক্রেনের একাধিক শহরকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছেন রাশিয়া। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। এমনকী হয়েছে মৃত্যুও। আর এর মধ্যেই পুতিনের এহেন মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।