নাবালক ছাত্রকে ওষুধ খাইয়ে একাধিকবার যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষিকা। মুম্বইয়ের একটি নামি স্কুলের ঘটনা। অভিযুক্ত ৪০ বছর বয়সি ইংরেজি শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি এক ১৬ বছর বয়সি ছাত্রকে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একাধিকবার যৌন হেনস্থা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা বিবাহিত এবং তাঁর নিজেরও সন্তান রয়েছে। যৌন হেনস্থার শিকার ছাত্রটি তখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাচের প্রস্তুতির সময় ওই ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি ছাত্রটিকে উদ্দেশ করে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ শুরু করেন বলে অভিযোগ।
ছাত্রটি প্রথমদিকে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে থাকে। এরপর ওই শিক্ষিকা তাঁর এক বান্ধবীর সাহায্য নেন। ওই বান্ধবী ছেলেটিকে বোঝান যে, বয়সে বড় মহিলার সঙ্গে কিশোর ছেলেদের সম্পর্ক এখন “স্বাভাবিক ব্যাপার”। শুধু তাই নয়, ছেলেটি ও শিক্ষিকা নাকি একে অপরের জন্যই এসেছেন। এসব শুনে শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয় ওই স্কুল ছাত্র। এরপর শিক্ষিকা একটি সেডান গাড়িতে করে ছেলেটিকে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যান এবং জোর করে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালান। পরে ছেলেটি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। তখন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাকে অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ খাওয়ান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এরপর আরও কয়েকবার ওই শিক্ষিকা ছেলেটিকে মদ খাইয়ে মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এই ঘটনার পর ছাত্রের পরিবার ছেলের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করে। এরপর ছেলেটি সমস্ত ঘটনা তার পরিবারের কাছে জানায়। সে যেহেতু ক্লাস টুয়েলভ এর ছাত্র ছিল তাই পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করে। আশা ছিল, পড়াশোনা শেষ হলেই ঐ শিক্ষিকার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবে ছেলেটি।
কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করার পর স্কুল থেকে বেরিয়ে গেলে, আবারও ঐ শিক্ষিকা যোগাযোগ করেন ছাত্রটির সঙ্গে। এরপর ওই ছাত্রের পরিবার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পকসো আইনের ৪, ৬ এবং ১৭ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।