কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল কলকাতা। আজ বুধবারও পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি যুব মোর্চা। যা নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় কলেজের সামনে। আর এর মধ্যেই ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আর এরপরেই কসবা থানার তরফে কেস ডায়েরি গোয়েন্দা বিভাগকে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত সহ আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় আরও কয়েকটি ধারা যোগ করল কলকাতা পুলিশ। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগে গণধর্ষণের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত চলছিল। এবার সেই ধারার সঙ্গে অপহরণের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যুক্ত করা হয়েছে অস্ত্র দিয়ে আঘাতের মতো ধারাও। যা মুল অভিযুক্ত এবং তৃণমূলনেতাকে আরও বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রধান অভিযুক্ত কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেই অনুযায়ী যে বেতন পেয়ে এসেছেন তা সম্পূর্ণটাই ফেরত দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত কলেজের পরিচালন সমিতির।
তদন্তভার গেল গোয়েন্দাদের কাছে
মঙ্গলবারই কলকাতা পুলিশ কমিশনার আশস্ত করে বলেন, ‘দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হবে’। আর এরপরেই ঘটনার তদন্তভার গেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে। ঘটনার পরেই বিশেষ তদন্তকারী দল সিট গঠন করা হয়। প্রথমে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন হলেও পরে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়। বিশেষ এই তদন্তকারী দল দফায় দফায় মুল অভিযুক্তকে জেরা করেছে। অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়েও তল্লাশি অভিযান চলেছে। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে নির্যাতিতার। একই সঙ্গে তদন্তের প্রয়োজনে একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে সিটের সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের কলরেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর মধ্যেই হঠাৎ কেন মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কোথাও কি তদন্তে ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন লালবাজারের কর্তারা? এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও বার্তা দেইওয়া অন্যদিকে, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিলকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কসবা ল কলেজের সামনে। বিভিন্ন ডিভিশন থেকে পুলিশ কর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।