তীব্র গরমের পর বর্ষা এলে মন জুড়িয়ে যায়। দীর্ঘদিনের দহন জ্বালায় প্রলেপ পড়ে। কিন্তু এই ঋতু একই সঙ্গে নিয়ে আসে রোগ ব্যাধি, সংক্রমণের চিন্তাও। বর্ষায় অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় চুল। উশকোখুশকো চুল, পুষ্টির অভাব, চুল ঝরার পাশাপাশি নানা ধরনের ইনফেকশনের প্রবণতা এই সময় বাড়ে। কোন নিয়ম মেনে চললে বাঁচবে চুল, হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল?
ধরুন, বাড়ি থেকে পরিপাটি করে চুল আঁচড়ে, স্টাইলিং করে বের হলেন আর বৃষ্টি নামল। চুলের দফারফা। ঠিক এর পরেই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই প্রয়োজন সঠিক যত্নের। প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, বর্ষায় চুল খুলে না রাখাই ভাল। এই সময়ে বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা চুলের গোড়া আলগা করে দেয়, স্ক্যাল্পকে তেলতেলে করে তোলে অথচ বাকি চুল থাকে শুষ্ক। ফলে বর্ষায় চুল ভেজালে, তা ভাল করে শুকিয়ে তবেই বেরনো উচিত। নয়তো ভেজা চুল মাথায় চুলকানি, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বাড়াতে পারে, যা থেকে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পাঁচটি ধাপে সুস্থ রাখুন নিজের চুল। প্রথমেই স্নানের সময় স্ক্যাল্প ভাল করে পরিষ্কার করুন। খুব আলতো হাতে, স্ক্যাল্পে জমে থাকা ময়লা, অতিরিক্ত তেল ঘষে তুলে ফেলুন। ব্যবহার করুন কোনও হালকা শ্যাম্পু। দ্বিতীয়ত, শ্যাম্পু বাছাই করুন ভেবেচিন্তে। এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত যাতে প্রোটিন রয়েছে যা আপনার চুলের হারানো জেল্লা ফেরাতে সহায়ক হবে। এই ধরনের শ্যাম্পু আপনার চুলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রেখেই আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। শ্যাম্পুর পর মনে করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতেই হবে। তৃতীয় ধাপ এটাই। সপ্তাহে নিয়ম করে তেল ব্যবহার করবেন চুলে যা পুষ্টি জোগায়, চুলকে নরম করে। চতুর্থ ধাপে ব্যবহার করুন ‘লিভ-ইন স্প্রে’ (Leave-in Spray)। এই ধরনের তরল হয় হালকা, এবং শ্যাম্পুর পর চুলের যদি কোনও স্টাইলিং করেন, তাহলে অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচায়। শেষ ধাপে সিরাম মাস্ট। যদি চুলে স্টাইলিং করেন, বা স্নান সেরেই বেরনোর থাকে, সিরাম অবশ্যই ব্যবহার করুন। তাতে চুলের ঘনত্ব বাড়ে।
বৃষ্টির জলের অ্যাসিডিক প্রকৃতি চুল নষ্ট করতে পারে সহজেই। ফলে নিয়মিত তেল, শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার, সিরাম ব্যবহার করলে চুল থাকবে তরতাজা ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।