একটা বয়সের পর এমনিতেই আমাদের চুলের বৃদ্ধি কমতে শুরু করে। সঙ্গে শুরু হয় চুল ঝরে পড়ার সমস্যাও। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই বয়েসের আগেই এই সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে তা হয়ে দাঁড়ায় মানসিক যন্ত্রণার কারণ। চুল চেহারার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারানোর পর শুরু হয়ে যায় টাক ঢাকো অভিযানের। নানা ওষুধ থেকে শুরু করে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট— আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বর্তমানে ভীষণ ট্রেন্ডিং। কিন্তু জানেন কি, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কতটা মারাত্মক হতে পারে। এমনকি দেখা দিতে পারে আরো নানা সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কম বয়েসে টাক পড়ে যাওয়া বা চুল উঠে যাওয়ার জন্য দায়ী কিন্তু আমরাই। অনিয়মিত এবং ভুল খাবার, চুলে নানা রং ব্যবহারেই চুল উঠে যায় বা টাক পড়ে যায়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের কারণে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে শরীরে। যেমন–
চুলকানি :
ট্রান্সপ্লান্ট করানো অঙ্গগুলিতে এক ধরণের লেয়ার তৈরি হয়। সেই স্থানে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এটি ঠিক হয়ে গেলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা বড় আকার ধারণ করতে পারে। পরে তা মাথায় ঘায়ের আকারও ধারণ করতে পারে। তাই এরকম সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চুল ওঠার সমস্যা :
ট্রান্সপ্লান্ট করানোর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘শক লস’ বলা হয়। চুল উঠতেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। এমনকি অংকের ক্ষেত্রে তা মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি খুব সাধারণ ব্যাপার। সেই অংশে ফের চুল গজানো শুরু হয়ে যায় কয়েক দিন পরেই।
সংক্রমণ :
হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর সব থেকে বড় যে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তা হল সংক্রমণ। যদি কোনও রকম সংক্রমণ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। নাহলে এই সংক্রমণ ধীরে-ধীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরের অন্যান্য অংশেও। যা পরবর্তীতে আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
মাথার ত্বক থেকে রক্ত পড়া :
ট্রান্সপ্লান্টের পর মাথার সেই অংশ থেকে রক্ত বের হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছুদিনের মধ্যে নিজে থেকেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে রক্ত বন্ধ না হয়ে অন্য সমস্যায় সৃষ্টি হয়েছে। এমন হলে সোজা চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভাল।