ভোটমুখী বিহারে মহিলাদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। রাজ্যের সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত। এছাড়াও সে রাজ্যের যুবকদের জন্য বিশেষ কমিশন গঠনেরও সিদ্ধান্ত বিহার সরকারের। চলতি বছরের শেষ দিকেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নীতীশ কুমারকে সামনে রেখেই ভোটের ময়দানে নামতে পারে বিজেপি। বাংলার মতোই বিহার বিধানসভা নির্বাচন মোদী শাহদের পাখির চোখ। আর তাই এখন থেকেই সে রাজ্যের মানুষের মন পেতে মরিয়া বিজেপি-জেডিইউ সরকার তা এ দিনের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।
বলে রাখা প্রয়োজন, বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক সময় মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে নানা প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত সে পথে হেঁটে বিহারের ‘নারী শক্তি’র মন পেতেই সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নীতীশ কুমার সরকারের, মত রাজনৈতিক মহলের। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে, সকল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের ৩৫ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে৷
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
নীতীশের ঘোষণা অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে বিহারের মূল বাসিন্দা হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখছেন, ‘আরও বেশি করে মহিলারা যাতে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে এবং বিহারের সরকার ও প্রশাসনে বৃহত্তর ভূমিকা পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত।’
নজরে যুবরাও
বিহারের যুব সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ ‘ইয়ুথ কমিশন’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখছেন, ‘বিহারের যুবকদের সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিহার যুব কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ শুধু তাই নয়, মঙ্গলবারই মন্ত্রিসভা কমিশন গঠনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিশেষ কমিশনের কাজ কি হবে?
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ জানিয়েছেন, রাজ্যের যুবদের উন্নয়ন ও কল্যাণ সম্পর্কিত সকল বিষয়ে যুব কমিশন সরকারকে পরামর্শ দেবে। একই সঙ্গে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে এই কমিশন সমন্বয় রেখে চলবে। নীতীশের ঘোষণা অনুযায়ী, কমিশনে ভাইস চেয়ারপার্সন দুজন এবং সাতজন সদস্য থাকবেন। তবে সকল সদস্যের বয়স ৪৫ বছরের কম। এই কমিশনের অন্যতম আরও একটি কাজ হবে, সরকারি কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রেও স্থানীয়দের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা। সরকারের আশা, নয়া এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে।
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
বিহারে ভোট আসছে। সরকারের এই যাবতীয় সিদ্ধান্ত সে দিকে তাকিয়েই নেওয়া বলে দাবি আরজেডির। সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আক্রমণ করেছেন ‘জন সুরাজ’ পার্টির সর্বেসর্বা তথা রাজনৈতিক কৌসুলি প্রশান্ত কিশোর। সকলেরই বক্তব্য, ভোটের লোভে না করে নীতীশ কুমার বরং সত্যি মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নে মন দিন