রোম্যান্টিক ছবিতে পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। সুমন মৈত্রর সিনেমা ‘জ়রিয়া’য় দেখা যাবে তাঁকে। বিপরীতে রয়েছেন রাজেশ্বর। গিটারের সুর, ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ আর প্রাণখোলা আড্ডা কীভাবে মানুষকে, সম্পর্ককে ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে, সেই গল্পই বলবে ‘জ়রিয়া’। ৩০ মিনিটের খানিক বড় এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অনিমেষ গঙ্গোপাধ্যায়। অপর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তপতী মুন্সীকে।
‘জ়রিয়া’ বলবে এই শহরের গানের গল্প। কলকাতা – গানের, স্মৃতির, জাদুর এই শহরকে উৎসর্গ করে তৈরি ছবিটি। ঝাঁ চকচকে আরজে অর্জুনের গিটার বাজানোর দক্ষতা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। তাঁর গভীর রাতের অনুষ্ঠান ‘জ়রিয়া’ সুরের বন্ধনে গল্প গাঁথে। তার সঙ্গে হঠাৎই আলাপ হয় তুলিকার, পেশায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকার। নিজের লেন্স দিয়ে কলকাতার না বলা গল্প সে তুলে ধরতে চায়। এক স্থানীয় ক্য়াফেতে হঠাৎই একদিন সে অর্জুনকে পারফর্ম করতে দেখে। মোহিত হয়ে যায় সে অর্জুনের সুরের জাদুতে, এমন এক সুর যা এই শহরেরই কথা বলে। এবার তাঁদের একসঙ্গে পথচলা শুরু হয় যাতে অনায়াসেই স্থান পায় শিল্প, প্রেম, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মুহূর্ত। গানে গল্পে তাঁরা কেবল নিজেদের নয়, গোটা শহরের ছন্দ খুঁজে পায়। সবমিলিয়ে এক আদুরে মিষ্টি প্রেমের গল্প বলবে এই ছবি।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
‘জ়রিয়া’ প্রসঙ্গে অমৃতা বলেন, ‘এটা একটা খুব সুন্দর প্রেমকাহিনি যেখানে কলকাতা শহরটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিচালক ও সঙ্গীতশিল্পীর প্রেম, তাতে একটা ছোট্ট ট্যুইস্ট আছে যেটা সিনেমায় দেখলেই ভালো। সুমন দা (পরিচালক সুমন মৈত্র)-র সঙ্গে অনেকগুলো প্রজেক্ট নিয়েই কথা হচ্ছিল। কিন্তু অবশেষে এই সিনেমাটা আমরা করতে পেরেছি। দারুণ অভিজ্ঞতা। অসীম ধৈর্য্য ওঁর। প্রযোজক আমার অনেকদিনের বন্ধু। ঠান্ডা মাথার মানুষ। পুরোটা টিমটাই খুব এক ছন্দে কাজ করেছি আমরা। কলকাতায় শ্যুটিং করতে গিয়ে প্রচণ্ড উপভোগ করেছি শহরটাকে।’
অমৃতার বিপরীতে রাজেশ্বর রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা সকলে খুব মন দিয়ে এই ছবিটা তৈরি করেছি। বাংলায় এটা আমার চতুর্থ কাজ। গোটা টিমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। এই সিনেমাটা মূলত আমাদের প্রাণের শহর কলকাতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি। এই শহরের বাতাসে গানের সুর, দারুণ খাবারের গন্ধ, মানুষের আবেগ… সবটাই ধরা হয়েছে এই ছবিতে। সুন্দর সুন্দর লোকেশনে শুট করেছি আমরা। শুধু দুটো মানুষের প্রেম না, এই শহরের প্রতি প্রেমও
করছি