নেপালের সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশের চক্রান্ত করছে জঙ্গিরা। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর ই তইবা ও জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনগুলি নেপাল থেকে ভারতে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাস কায়েমের চেষ্টা করতে পারে বলে সতর্ক করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এক সেমিনারে ওই মন্তব্য করেন সুনীল।
নেপালের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার খোলা সীমান্ত রয়েছে। সামান্য কিছু সিকিওরিটি চেক করা হয় সীমান্তে যাতায়াতে। নেপাল থেকে ভারতে মানুষের যাতায়াতে তেমন কিছু ঝক্কি পোহাতে হয় না। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের ফন্দি আঁটছে বলে দাবি করেন থাপা। নেপালে ঢুকে প্রথমে বিভিন্ন পরিচয়পত্র জাল করে ভারতে পাক জঙ্গিরা প্রবেশের চক্রান্ত করছে। এমনকী এমন বহু জঙ্গি নেপাল সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় সেদেশের প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েছে বলেও জানান থাপা।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
গত ৯ জুলাই নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশনের তরফে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল সেমিনারের আলোচ্য বিষয়। দেশ বিদেশের নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি ভৌগোলিক বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন সেমিনারে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে একের পর এক বক্তা তাঁদের মতামত জানান। সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তোলেন তাঁরা। SAARC-এর কাজের পথে পাকিস্তানের এই জঙ্গিপনা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাই কড়া জবাব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে সওয়াল করেন সেমিনারে উপস্থিত বিশিষ্টরা। স্রেফ তাই নয়, সন্ত্রাসে অর্থের জোগান বন্ধ করা, গোপন তথ্য পাচারের বিরুদ্ধে সরব হন তারা। ভারত-নেপাল সীমান্তে টহলদারি বাড়ানোর পক্ষেও জোর আরোপ করা হয় সেমিনার থেকে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সকল দেশকে একজোট হতে আহ্বান জানানো হয় সেমিনারে। এব্যাপারে কোনওরকম দ্বিচারিতা রাখা হবে না বলেও অঙ্গীকার করেন উপস্থিত অতিথিবর্গ।
