ইনস্টাগ্রামে রিল বানানো নয়। বাবার গুলিতে নিহত টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের হত্যার নেপথ্যে আসলে মানসিক অবসাদ। এমনটাই জানা গেল এ বার। বৃহস্পতিবার গুরুগ্রামের সেক্টর-৫৭ তে ঘটেছে ঘটনাটি।নিজের বাবার পর পর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন হরিয়ানার প্রতিশ্রুতিমান টেনিস তারকা রাধিকা যাদব। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, সম্ভবত ইনস্টাগ্রামে রাধিকার রিল বানানোর অত্যধিক আসক্তির কারণেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গুলি চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ বাবা। তবে এ বার অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদব নিজে স্বীকার করলেন, মেয়ের রোজগারে বসে বসে খেতে হচ্ছিল। যেটা তিনি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি বলেই এই হাড় হিম করা হত্যাকান্ড।
২৫ বছর বয়সী রাধিকা হরিয়ানাকে রাজ্যস্তরের টেনিসে প্রতিনিধিত্ব করে জিতেছেন বেশ কিছু খেতাব। দেশের টেনিস সার্কিটে মোটামুটি জনপ্রিয় নাম তিনি। খেলার পাশাপাশি একটি টেনিস অ্যাকাডেমিও চালাতেন। যেখানে কোচিং করাতেন তিনি নিজেই। অভিযুক্ত বাবার দাবি, এটাই মেনে নিতে পারেননি তিনি। মেয়ে রোজগার করে আনছে আর সেই টাকায় খেতে হচ্ছে। এই বিষয়টি জন্ম দেয় এক মানসিক অবসাদের। এমনকি এ বিষয়ে পাড়াপড়শিদের গঞ্জনা শুনতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ৫১ বছরের দীপক যাদব।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ রাধিকার নিজের বাড়িতেই ঘটেছে ঘটনাটি। রান্নাঘরে রান্না করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ পিছন থেকে থেকে এসে পর পর পাঁচটি গুলি চালান বাবা। যার মধ্যে তিনটি গুলি লাগে রাধিকার গায়ে। এরপর পরিবারের বাকি সদস্যরা তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও লাভ হয়নি। চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরেও মৃত্যু হয় রাধিকার। নিজের মেয়েকে খুন করার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে দীপক জানিয়েছেন, তিনি বার বার রাধিকাকে তাঁর অ্যাকাডেমি বন্ধ করার কথা বলতেন। কিন্তু মেয়ে তা কখনও কানে নেননি বলেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গুলি চালিয়ে দিয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বন্দুকটিও ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেটির লাইসেন্সও আছে।
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
এর আগে প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করেছিল, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে হয়ত রাধিকার ইনস্টাগ্রাম রিলস বানানোর শখ। রাজ্য তথা দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান এই টেনিস তারকা ইনস্টাগ্রামে নানা রকম রিল ভিডিও বানাতেন। যা বাবার পছন্দ ছিল না। তবে সম্প্রতি গুরুগ্রামের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার যশবন্ত যাদব বলেন, “টেনিস অ্যাকাডেমি বন্ধ করার জন্য মেয়েকে অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিলেন বাবা দীপক যাদব। বাপ-মেয়ের মধ্যে এ নিয়ে আগেও বিস্তর বচসা হয়েছে। সেই বচসা থেকেই এত বড় একটা কাণ্ড ঘটে গেল শেষমেশ।”