বর্তমানে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরিন ভেঙে গিয়ে শরীরে এই বর্জ্য পদার্থটি তৈরি হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা রয়েছে এটি শরীরে জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। কিন্তু জানিয়ে রাখি এটি তখনই শরীরে জন্য ক্ষতিকর যখন অতিরিক্ত মাত্রায় এটি শরীরে জমা হয়ে যায়।
এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতেই শরীরে বাত, জয়েন্ট পেইন, কিডনি সংক্রান্ত নানান অসুখ বাসা বাধে। শরীরকে সুস্থ রাখতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। যদি আপনি কিডনিকে সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে চান তাহলে ইউরিক অ্যাসিডকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। কিন্তু বললেই তো আর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই অ্যাসিড নির্ধারীত সীমার বাইরে চলে যায়।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
জানিয়ে রাখি ইউরিক অ্যাসিডের অত্যাধিক মাত্রা কমানোর উপায় কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই আছে। আমরা শুধু সে সম্পকে সচেতন নই। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন ছয় ধরনের পানীয় রয়েছে যা সহজে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে। তার জন্য কোনো পরিশ্রমের দরকার হয় না। এই ছয় পানীয় হল লেবু জল, হলুদ মেশানো দুধ, আদা জল, লাউয়ের রস, বিটরুটের রস এবং গ্রিন টি।
এই ছয় পানীয়ের গুণাগুণ
লেবু জল:
লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন লেবু জল খেলে মাত্র কয়েকদিনেই আপনার ইউরিক অ্যাসিডের বর্ধিত মাত্রা কমতে শুরু করবে। শুধু ইউরিক অ্যাসিড নয় এই জল আপনার কিডনিকেও ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
হলুদ মেশানো দুধ :
এমনিতে হলুদকে এন্টিবায়োটিক হিসেবে চেনা হয়। কিন্তু এছাড়াও হলুদে থাকা কারকিউমিন নামের কম্পাউন্ড ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে দারুন উপকারী। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ফল বুঝবেন শীঘ্রই।
আদা জল :
আদায় জীনজরল নামে যে কম্পাউন্ড থাকে তা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আদা ফোটানো বা আদা ভেজানো জল খেয়ে দেখুন।
লাউয়ের জুস :
লাউ এমন এক সবজি যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। লাউয়ের জুস প্রতিদিন খেলে ইউরিক অ্যাসিড আপনা থেকেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
বিটরুটের রস :
বিটরুটের রস পান করলে ইউরিক অ্যাসিড কমতে বাধ্য। স্বাস্থ্যের জন্যও এটি ভীষণ উপকারী।
গ্রিন টি :
গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এই পানীয়ের সেবনে আপনি উপকার পেতে বাধ্য।