আরও ঘনীভূত বাবার গুলিতে নিহত টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের হত্যা রহস্য। অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদব নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন অপরাধ। পাশাপাশি পুলিশের জেরার মুখে তিনি এও বলেন যে রীতিমত পরিকল্পনা করেই এই হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ড। কিন্তু এরপরেও রহস্য বাড়াচ্ছে রাধিকার মায়ের আচরণ। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে বয়ান দিতে আপত্তি জানিয়েছেন রাধিকার মা মঞ্জু যাদব। তাঁর দাবি, তিনি কিছুই জানেন না।
বৃহস্পতিবার গুরুগ্রামের সেক্টর-৫৭ তে নিজের বাবার পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান হরিয়ানার অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান টেনিস তারকা রাধিকা যাদব। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এরপর অভিযুক্ত দীপক যাদবকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনি জানান, মেয়ের রোজগারে বসে বসে খেতে হচ্ছিল। যার ফলে তাঁর মধ্যে জন্ম নেয় এক মানসিক অবসাদ। এ ছাড়া মেয়ের রোজগারে খাওয়া নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীর খোঁটা শুনতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দীপক। সব মিলিয়েই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে মেয়ের ওপর গুলি চালান তিনি। কিন্তু এ বার রাধিকার মায়ের বয়ান দিতে অস্বীকার করার বিষয়টি নতুন করে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পুলিশকে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
তা হলে কি দীপকের স্বীকারোক্তির বাইরেও কোনও গোপন সত্য লুকিয়ে আছে? রাধিকার মা মঞ্জু দাবি করেছেন, তাঁর জ্বর হয়েছিল। তাই তিনি ঘরে শুয়েছিলেন। কী ঘটছে তার কিছুই তিনি জানতে পারেননি। আর এতেই ধন্দে পড়ে গিয়েছে পুলিশ। কারণ, তদন্তকারীদের সূত্র বলছে যে ঘটনার সময় (সাড়ে ১০ টা) বাড়ির দোতলায় রান্নাঘরে রান্না করছিলেন রাধিকা। তখনই পেছন থেকে এসে পর পর পাঁচটি গুলি চালান তাঁর বাবা। আর মঞ্জুও সেই সময় দোতলাতেই ছিলেন। তা হলে কী করে তিনি গুলির শব্দ শুনতে পেলেন না? আর তাঁর বয়ান দিতে না চাওয়ারই বা কারণ কী?
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
নাকি ঘটনাটি একেবারেই উল্টো? মেয়ে যে তাঁর স্বামীর হাতে সে কথা আগে থেকেই জানতেন মঞ্জু, আর সে কারণেই বয়ান দিতে আপত্তি তাঁর? গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তিনিও তাঁর স্ত্রীর মতই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এতেই পুলিশের অনুমান, ২৫ বছরের টেনিস তারকা রাধিকা যাদবের হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা থাকতে পারে তাঁর মায়েরও। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। যদিও দীপক এও জানিয়েছেন যে, যাতে বিনা বাধায় মেয়েকে খুন করতে পারেন সে জন্য তিনি ছেলেকে দুধ আনতে পাঠান।