দেশের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে অন্যতম দিলজিৎ দোসাঞ্জ। পাঞ্জাবি গায়ক থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেতা, তাঁর রূপ একাধিক। এখন তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পৃথিবীর নানা প্রান্তে তিনি ট্যুর করে শো করে বেড়ান। উপচে পড়া ভিড় বলে দেয় তাঁর খ্যাতি বিপুল। সেই সঙ্গে নানা ঘরানার ছবিতে তাঁর নজরকাড়া অভিনয়ও মন জয় করেছে দর্শকের। তবে কেবল খ্যাতিই নয়, বিতর্কও তাঁর নিত্যসঙ্গী। সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে পাক অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সঙ্গে তাঁর নতুন ছবি ‘সর্দার জি ৩’-এর মুক্তির প্রসঙ্গ। ভারত-পাক সাম্প্রতিক টালমাটাল সম্পর্কের আবহে, বিশেষত পহেলগাম কাণ্ডের পর পাকিস্তানি অভিনেত্রী থাকায় এই ছবির মুক্তি আটকে গেছে এদেশে। অন্যদিকে, অভিনেতার আরও একটি ছবি ‘পাঞ্জাব ৯৫’ নিয়েও এবার শুরু বিতর্ক। ঠিক কী ঘটেছে?
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
মানবাধিকার কর্মী জসওয়ান্ত সিং কালরার জীবন ও তাঁর লড়াইয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি ‘পাঞ্জাব ৯৫’ নিয়ে এবার জলঘোলা। হানি তেরহান পরিচালিত এই ছবি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেঁসে রয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনে। অর্থাৎ সিবিএফসি থেকে এখনও মেলেনি ছাড়পত্র। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন দিলজিৎ। কিন্তু সিবিএফসির গণ্ডী কেন পেরোতে পারছে না এই ছবি? বোর্ডের তরফে ছবিতে ১২৭টি দৃশ্য ছেঁটে ফেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরিচালকের দাবি, ১২৭টি ‘কাট’ যদি করা হয় ছবিতে, তাহলে সেটা ফিল্ম নয়, ট্রেলারে পরিণত হবে।
শুধু তাই নয়, এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হানি প্রশ্ন তুলেছেন যে এই কাঁচি চালানোর কারণ কী সেই নিয়ে। শুধু তাই নয়, তাঁদের ছবির নামও পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। ছবির শিরোনাম থেকে ‘পাঞ্জাব’ শব্দটা সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে বোর্ডের তরফে। পরিচালক বলছেন, ‘ছবির গল্প পাঞ্জাবের প্রেক্ষাপটে। কোনও সাধারণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ শিরোনাম থেকেই কেন ‘পাঞ্জাব’ শব্দটা ফেলতে বলবেন? পাঞ্জাবী পুলিশ রয়েছেন, মাথায় পাগড়ি পরে, আর ওঁরা চাইছেন যে তাঁদের আমি ‘পাঞ্জাব পুলিশ’ না বলে শুধু ‘পুলিশ’ বলি। এর লজিক কোথায়?’
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
শুধুই এটুকু? না। বোর্ডের তরফে ভারতের প্রাক্তন ও প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামও নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। পরিচালকের প্রশ্ন তাহলে ওঁকে কী বলে ডাকা হবে ছবিতে? ‘একটা আস্ত সিনেমা তাঁর গোটা জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে গেল, ‘এমার্জেন্সি’ এবং আমি সিনেমায় একজনের মুখ থেকে তাঁর নামটা পর্যন্ত বলাতে পারব না? এমন পক্ষপাতিত্ব কেন?’ শিল্পীর স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, দাবি পরিচালকের। গোটা বিষয়ে স্বভাবতই বিরক্ত তিনি। হানির কথায়, ‘প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি খুব ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে আছি। যদি নিজের শিল্পের মাধ্যমেই মনের ভাব প্রকাশ না করতে পারো তাহলে গণতন্ত্র আর কোথায়? আমার কোনও ভাষা নেই। এটাই এখন পরিস্থিতি। একটা সময়ের পর বিষয়টা আর কারও নিয়ন্ত্রণেই নেই।’