জনপ্রিয় ভারতীয় স্ন্যাকস ও মিষ্টি সিঙাড়া জিলিপি লাড্ডুর ওপর বসাতে হবে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ লেবেল। এই নির্দেশ নাকি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই সমস্ত খাবার চিনি ও তেলে ভরপুর বলে নাকি এবার এগুলোকেও তামাকজাত দ্রব্যের মতই বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নাকি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যে, এই ধরনের খাবারে থাকা চিনি ও তেলের পরিমাণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে খাবারের দোকানগুলোতে ‘অয়েল অ্যান্ড সুগার বোর্ড’ বসাতে হবে। নাগপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে বলেও কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে।
এবার সামনে এল আসল সত্য।
এইসব দাবিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য যাচাইকারী সংস্থা এটি। সরকারি নির্দেশনা নিয়ে ভুয়ো খবর চিহ্নিত করে এই সংস্থা। পিআইবি একটি টুইট করে জানায়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এমন কোনো নির্দেশই জারি হয়নি, যাতে সিঙাড়া, জিলিপি বা অন্য ভারতীয় স্ন্যাকসের গায়ে সতর্কীকরণ লেবেল বসানোর কথা বলা হয়েছে।
পিআইবি আরও স্পষ্ট করে জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শে এমন কোনো নির্দেশ নেই যেখানে খাবার বিক্রেতাদের সতর্কতামূলক পোস্টার লাগানোর কথা বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক যেসব মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সেগুলি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। এই ঘটনার পর পিআইবি সকলকে অনুরোধ করেছে, এমন ভুয়ো খবর বিশ্বাস না করে সরকারি ও বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করতে। খাবার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তবে যে গুজব রটেছে তাতে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
সুতরাং, সিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডু খাওয়ার আগে ‘সতর্কীকরণ পোস্টার’ খুঁজে সময় নষ্ট না করে, গুজব থেকে সাবধান হওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
