পোলবা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনলেন দলেরই ১১ জন সদস্য। অনাস্থা কার্যকর না হলে গণইস্তফা দেওয়ার হুমকি তৃণমূল সদস্যদের। তবে দল যে কোনও অনাস্থা মানবে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সভাধিপতি।
পোলবা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৯ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে একজন বিজেপির বাকিরা তৃণমূলের। তৃণমূলের প্রধান মৌমিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে তাঁর দলেরই সদস্যদের অভিযোগ, প্রধানের জন্য গ্রামের মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রধান নিয়মিত পঞ্চায়েতে আসেন না। এমনকী পঞ্চায়েতে সাধারণ সভাগুলিতেও প্রধান অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ সদস্যদের। এখানেই শেষ নয়, প্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ।
পঞ্চায়েত সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রধান যেদিন আসেন সেদিন বহিরাগতদের নিয়ে এসে পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকী খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী গ্রামের মানুষ পরিষেবা না পাওয়ায় তাঁদেরকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। আর সেই কারণেই প্রধানকে সরাতে অনাস্থা এনেছেন ১১ জন সদস্য।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই পোলবা বিডিও অফিসে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ওই ১১ জন সদস্য। আজ বুধবার বিডিওর ডাকে ১১ জন তৃণমূল সদস্য সেখানে যান। দীর্ঘক্ষণ বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করেন। মিটিং শেষে বেরিয়ে তৃণমূল সদস্যরা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থাতেই অনড়। যদি প্রস্তাব মানা না হয় তাহলে আইনগত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল সদস্যদের। অনাস্থা কার্যকর না হলে গণইস্তফা দেওয়াও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধান জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে যেটা বলছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমি কাজকে ভালবাসি তাই এই চেয়ারে বসেছি। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য যে টাকা আসে তা সঠিক ব্যবহার করা হয়। তবে পালটা তাঁর সতীর্থদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রধান।
আরও পড়ুন
তাঁর দাবি, যারা বলছে আমার বিরুদ্ধে তারাই ঠিক মতো কাজ করে না। কেমন কাজ করি সেটা জনগণ বলবে। অন্যদিকে পোলবা বিডিও জগদীশ বাড়ুই জানান, পঞ্চায়েত গঠনের পর আড়াই বছর এখনও হয়নি, তাই আইন অনুযায়ী অনাস্থা আনা যাবে না বলে সমস্ত সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা জানিয়েছেন, দল কোনও অনাস্থায় অনুমোদন দেয়নি। তাই পোলবা পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও অনাস্থা আনা যাবে না। রঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, যারা অনাস্থা এনেছে তাদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মেটানো হবে।