একদিকে একটানা বৃষ্টি এবং অন্যদিকে ডিভিসির ছাড়া জল, প্লাবিত হল হরিপাল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি। আমন ধানের মরসুমে বিঘার পর বিঘা জমি সাদা হয়ে রয়েছে। ফি বছর বর্ষার সময় একই অবস্থার কারণে মাথায় হাত কৃষকদের। ব্যাপক ক্ষতির মুখে সাধারণ মানুষ। যদিও এই পরিস্থিতিতে কৃষকের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
দামোদর নদের সঙ্গে সংযোগকারী ডাকাতিয়া খাল বয়ে গিয়েছে হরিপাল ব্লকের একাংশ দিয়ে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে প্রত্যেক বছর ডিভিসি যখন জল ছাড়ে তার একাংশ এই ডাকাতিয়া খাল দিয়েই বাহিত হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে এই খালের জলস্তর কম থাকলেও এখন সেই খাল জলের পরিপূর্ণ। একেবারে নদীর স্রোতের মতো জল বয়ে চলেছে জল। আর সেই খালের জল উপচেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে হুগলি জেলার হরিপাল ব্লকের সহদেব, দ্বারহাটা, কৈকালা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। যার সম্পূর্ণটাই কৃষি জমি বলে জানা যাচ্ছে।
বিশেষ করে তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা, যেমন কলুবাটি, ভগবতীপুর, খাজুরিয়া, কনকপুর, পার্বতীপুর, কৃষ্ণ বল্লভবাটি সহ একাধিক গ্ৰামের কৃষি জমি সম্পূর্ণ ভাবে জলের তলায়। ব্লক প্রশাসনের দাবি, হরিপাল ব্লকের ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি কৃষি জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোথাও বীজ তোলা, কোথায় বা সদ্য বসানো ধান জমিও একেবারে জলের তলায় বলে জানিয়ছে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এই অবস্থায় বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করে মাথায় হাত ধান চাষিদের। প্রত্যেক বছর একইভাবে বর্ষার মরসুমে কৃষি জমি প্লাবিত হওয়ায় কারনে একেবারে দিশেহারা অবস্থা। এই অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনের কাছে খাল সংস্কারের দাবি কৃষকদের। শুধু তাই নয়, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন।