কবিগুরু লিখেছিলেন, “জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক…।” জগতের নিয়মই তাই। নতুন এলে পুরনোকে জায়গা ছেড়ে দিতেই হয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই ধারাই। তাই বার্সেলোনাও ব্যাতিক্রমী রাস্তায় হাঁটল না। ফুটবল দুনিয়ায় অন্যতম কুলীন এই ক্লাবটির সিদ্ধান্তে এ বার মারাদোনা-মেসির জার্সিতে গা গলাতে চলেছেন স্পেনের তরুণ তুর্কি লামিনে ইয়ামাল।
বুধবারই বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়েছে ইয়ামালের। যা থাকবে আগামী ২০৩১ সাল পর্যন্ত। এই চুক্তির পরই ১৮ বছরের ইয়ামালের হাতে ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী ১০ নম্বর জার্সি তুলে দেন সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা। যে জার্সি পরে এক সময় নেমেছেন দিয়েগো মারাদোনা। তারপর নেমেছেন লিওনেল মেসি। এ ছাড়া ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা রোনাল্ডিনহোকেও বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি গায়ে নামতে দেখা গিয়েছে। সেই জার্সি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইয়ামাল বলেন, “এই ক্লাবে সুযোগ পাওয়া সকলেই এই জার্সির স্বপ্ন দেখে। জার্সিটি পেয়ে আমি গর্বিত।”
১৯৮২ থেকে ৮৪, এই দু’বছর বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন মারাদোনা। অন্যদিকে মেসি নিজের ফুটবল কেরিয়ার শুরুই করেন বার্সার হয়ে। দুই কিংবদন্তিই ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠ কাঁপিয়েছেন। এ বার সেই লেগ্যাসি বহনের দায়িত্ব সদ্য ১৮ তে পা দেওয়া ইয়ামালের কাঁধে। যদিও তিনি জানাচ্ছেন, মেসি বা বাকি দু’জনের পথে হাঁটতে চান না। ইয়ামালের কথায়, “এই ১০ নম্বর জার্সিতে মেসি নিজের পথ নিজে তৈরি করেছিলেন। আমিও নিজের মত পথ তৈরি করার চেষ্টা করব। ওঁরা তিনজন কিংবদন্তি। ওদের মত খেলার চেষ্টা করব।”
বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং কোপা দেল রে ইতিমধ্যেই জিতে ফেলেছেন ইয়ামাল। ক্লাবের সঙ্গে নতুন চুক্তির ফলে বছরে ৪০০ কোটি টাকা করে পাবেন তিনি। যার ফলে রবার্ট লিওনডস্কিকে ছাপিয়ে বার্সার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ফুটবলার হতে চলেছেন তিনি। আবার সেই সঙ্গে রিলিজ ক্লজ ধার্য্য করা হয়েছে ৯৯৭২ কোটি। অর্থাৎ চুক্তি চলাকালীন অন্য কোনও দল ইয়ামালকে ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁদের এই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।