গত ৩ জুন আরসিবি’র প্রথম আইপিএল জয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলিদের বিজয়োৎসবে শামিল হতে গিয়ে পদপিষ্ট হন একাধিক মানুষ। যার মধ্যে প্রাণ যায় ১১ জনের। এই ঘটনায় এ বার আরও চাপ বাড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওপর। সম্প্রতি হাই কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে কর্ণাটক সরকার পুরো দায়টাই আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির ঘাড়ে চাপিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযোগের তীর কিং কোহলির দিকেও।
সূত্রের খবর, হাই কোর্টের কাছে একাধিক যুক্তি পেশ করেছে কর্ণাটক সরকার। তারা সরাসরি দায়ী করেছে বিরাট কোহলিকে। অভিযোগ, কোহলি একটি ভিডিও বার্তায় সকল সমর্থককে মাঠে আসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আর তার জেরেই ঘটেছে এই বিপত্তি। এ ছাড়া অভিযোগ আঙুল তোলা হয়েছে পুলিশের দিকেও। সরকারের দাবি, পুলিশ সেদিন কার্যত আরসিবি’র চাকরে পরিণত হয়েছিল। কে কী অনুমতি দিয়েছেন সেসব খতিয়ে না দেখেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা শুরু হয়েছিল। আর এই কাজে জড়িত ছিলেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
কর্ণাটক সরকার ইতিমধ্যেই এই পদপিষ্টের ঘটনায় সাসপেন্ড করেছে অতিরিক্ত কমিশনার বিকাশ কুমারকে। যা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (CAT)। উক্ত রিপোর্টে সেই বিষয়টিরও বিরোধিতা করা হয়েছে সরকারের তরফে। অন্যদিকে তারা এও দাবি করেছে যে সেদিন স্টেডিয়ামের গেট খুলতে দেরি করার কারণেই পদপিষ্ট হওয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আবার এও যোগ করা হয়েছে, পুলিশ বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এত বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর সামাজিক মাধ্যমে সে বিষয়ে পোস্টও দেওয়া হয়েছিল।
এ দিকে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ১১ জন মানুষের মৃত্যুর দায় আরসিবি’র ঘাড়ে চাপাতেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপিও। সরকারের তরফে সরাসরি অভিযোগ আনা হয়েছিল বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার উপ বিরোধী দলনেতা অরবিন্দ বেল্লাডের পাল্টা অভিযোগ, “আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এখন চাপে পড়ে কোহলির মত তারকাকে দায়ী করছে তারা।” তিনি এও দাবি করেছেন, “সরকার চাইলেই ওই বিজয় উৎসব বন্ধ করতে পারত। কিন্তু স্বয়ং মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার এবং কংগ্রেস ভক্তদের স্টেডিয়ামে আজকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।”