নগদ কাণ্ডে অভিযুক্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মা এবার দেশের শীর্ষ আদালতের দরজায় পৌঁছালেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট আনার যে প্রস্তাব তিন বিচারকের অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দিয়েছিলেন তাকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি বর্মা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আবেদন করেছেন।
তদন্তের রিপোর্টকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় তুলে বিচারপতি বর্মা তাঁর আবেদনে অভিযোগ করেছেন, কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগে তাঁকে বক্তব্য পেশ করার কোনো সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি। ২১ জুলাই সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের শুরু হওয়ার কথা। রিপোর্ট অনুসারে, বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে কেন্দ্র ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে পারে। ঠিক তার আগে বর্মা এই আবেদন করে সেই ইম্পিচমেন্ট থেকে বাঁচতে চেয়েছেন বলেই আইনজীবী মহলের মত।
উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন চলতি বছরের ১৪ মার্চ বিচারপতি বর্মার দিল্লির বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে এসে দমকল কর্মীরা তাঁর বাড়িতে আধপোড়া টাকার স্তূপ দেখতে পান। তখন বিচারপতি বর্মা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এই খবর সংবাদমাধ্যমে পৌঁছাতে দেরি হয়নি। গোটা দেশে হৈ-হৈ শুরু হয়ে যায়। বর্মার বিরুদ্ধে বেআইনি নগদ কাণ্ডে মামলা শুরু হয়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তদন্তে কমিটি গঠন করে। বিচারপতি বর্মাকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কমিটি। সেই মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জাস্টিস বর্মার।