পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট’কে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করল আমেরিকা। শুক্রবার মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত সরকার। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল পাক জঙ্গি সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট। সেই জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারান।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, “দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্টকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে দৃঢ় সহযোগিতা রয়েছে।” মার্কিন সিদ্ধান্তকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট’কে ফরেন টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন ও স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন সরকার ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখাল।”
তিনি আরও বলেন, “রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট আসলে লস্কর-ই-তৈবা-র একটি ছদ্মবেশী সংগঠন এবং তারা পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল।” মার্কিন প্রশাসনের ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানায়, এটি ভারত-মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী অংশীদারিত্বের এক ভালো দৃষ্টান্ত।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিরা বহু নিরীহ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে। রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট প্রধান শেখ সাজ্জাদ গুলকে এই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এনআইএ। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত। ৭ মে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। পরে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়লেও, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামে। এরপর মে মাসে ভারত থেকে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের ৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ দেশে, বিশেষ করে ওয়াশিংটনে গিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের বিষয়টি তুলে ধরে।