ফের লজ্জায় শেহবাজ সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পর সঙ্গে পাকিস্তানের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বের প্রচার করতে গিয়ে বেফাঁস পাক সরকার এবং তার দেশের মিডিয়া এবার লজ্জায় মুখ লুকোবার জায়গা পাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহে একাধিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ফলাও করে প্রকাশ করেছিল সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদ সফর করবেন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, পাক প্রশাসনের প্রোপাগান্ডার অংশ হিসাবে সে দেশের মিডিয়ার বড় অংশ আমেরিকা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা ফলাও করে প্রচার করে আসছিল। কিন্তু সেই প্রচারের ফানুস ওড়ার আগেই শেষ।
পাক মিডিয়ায় ট্রাম্পের সফরের খবর প্রকাশ পেতেই নড়ে-চড়ে বসে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব ক্যারোলিনা লিভিত সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাকিস্তান সফরের খবর ‘ফেক’। সেপ্টেম্বরে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হল ব্রিটেন সফর। তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার এবং ব্রিটেনের রাজার সঙ্গে দেখা করবেন। চলতি বছর তো নয়ই, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফরের বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়নি। তাই পাকিস্তান যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
আর এরপরই পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলি লজ্জায় মুখ লুকোচ্ছে। একে-একে ক্ষমা চাইতে শুরু করেছে। সবথেকে বড়ো কথা, মিডিয়া শুধু ট্রাম্পের শুধু পাক সফরের কথায় ঘোষণা করেনি। ট্রাম্পের সফরসূচিও প্রকাশ করে ফেলে কোনও কোনও মিডিয়া। মজার বিষয় হল, গতকাল থেকে পাক মিডিয়া ক্ষমা চাওয়ার ঢল নেমেছে। খবরের কাগজ, টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হচ্ছে, বড় ভুল হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের খবরটি ভুল ছিল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
রাজনৈতিক বিশেজ্ঞরা বলছেন, আসলে ট্রাম্পের সফরের ভুয়ো খবর প্রকাশ করে শেহবাজ সরকার আসিম মুনির প্রসঙ্গে জল ঢালার চেষ্টা করেছিলেন। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুনিরকে হোয়াইট হাউসে ডেকে কথা বলেছেন। তাঁর সঙ্গে লাঞ্চও সেরেছেন। এটি যে কোনো সরকারের কাছে লজ্জার। মার্কিন সফর শেষে মুনির দেশে ফিরলে খবর ছড়াতে শুরু করে শীঘ্রই সেনা প্রধানের পদ থেকে অবসরের পর তিনি হবেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টোর পিতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বেনজিক ভুট্টোর স্বামী। স্বভাবতই বেকায়দায় পাক সরকার এখন বেজায় অস্বস্তিতে।