বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে জশপ্রীত বুমরাহ্। ম্যানচেস্টার টেস্টের আগে বিশ্বের এক নম্বর বোলারের খেলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ইংল্যান্ডের মাটিতে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলবেন বুমরাহ্। বাকি দুটিতে বিশ্রাম দেওয়া হবে তাঁকে। কিন্তু যেহেতু কোন দুটি টেস্টে বুমরাহ্কে বসানো হবে তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়নি। তাই সিরিজের চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। লর্ডসে খেলেছিলেন, তা হলে কি ওল্ড ট্রাফোর্ডে দেখা যাবে বুমরাহ্কে?
বিশ্বকাপজয়ী ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকার মনে করেন, বুমরাহ্কে এভাবে বেছে বেছে টেস্ট খেলানোর কোনও মানেই নেই। যদি বুম বুম ফিট থাকেন, তা হলে চোখ বন্ধ করে তাঁকে নামানো উচিত। আর যদি টিম ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ড মনে করে, ভারতীয় বোলার ফিটই নন। তা হলে খেলানোর দরকারই নেই। এক কথায়, বিশ্বের সেরা বোলারের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বেঙ্গসরকর।
সম্প্রতি বুমরাহ্কে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড। বুমরাহ্ না খেললেই ভারত বেশি ম্যাচ জেতে, কথাপ্রসঙ্গে এমন একটি বিষয়ই তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে বেঙ্গসরকার সে পথে হাঁটছেন না। তাঁর কথায়, “বোলারদের বেছে বেছে টেস্ট খেলানোর পক্ষপাতি আমি নই। ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে ম্যাচ বেছে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বুমরাহ্ একজন বিশ্বমানের বোলার। দলকে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। তাই ফিট থাকলে ওর সব ম্যাচই খেলা উচিত।”
বুমরাহ্’র চোটের দিকে খেয়াল রাখছে বিসিসিআই। তাঁর ওপর যাতে ওয়ার্কলোড খুব বেশি না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ম্যাচ খেলানো হচ্ছে বেছে বেছে। বেঙ্গসরকর বলেন, “প্রথম টেস্টের পর ৭-৮ দিন বিশ্রাম পেয়েছে। তারপরেও দ্বিতীয় টেস্ট খেলানো হয়নি বুমরাহ্কে। এটা কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভারতের হয়ে নামা। ফিট না থাকলে খেলানোরই দরকার নেই।” অন্যদিকে দেশের আরেক প্রাক্তনী দীপ দাশগুপ্তের মত হল, “ভারত যেহেতু সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে। তাই চতুর্থ টেস্টে বুমরাহ্কে খেলানোটা খুবই জরুরি। ম্যানচেস্টার টেস্ট হেরে গেলে পরের টেস্টের আর কোনও গুরুত্বই থাকবে না।”