একুশের শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে বরাবরের মতো মমতার নিশানায় বিরোধীরা। বিজেপি সিপিএমকে একযোগে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা নিয়ে সুর চড়িয়ে বিজেপিকে বাংলাবিদ্বেষী তকমা মমতার। বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলে তোপ তৃণমূল নেত্রীর। বিজেপি শাসিত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছাব্বিশের নির্বাচনে পদ্মকে উৎখাত করার ডাক মমতার। পাশাপাশি, দিল্লির মসনদ থেকেও বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতার দাবি, “বিজেপির চক্রান্ত চলছেই। বাংলা ভাষায় নাকি কথা বলা যাবে না! কে মাছ খাবে, কে মাংস খাবে, কে ডিম খাবে ওরা ঠিক করে দেবে! বিজেপির এক জন নেতা বলছেন এখানে নাকি ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। মোট কত রোহিঙ্গা? আপনি এত জনকে বাংলাতেই বা পেলেন কোথায়? মতুয়া ভাইদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কী জবাব দেবে বিজেপি? যখন ওড়িশায় ছাত্রীর সম্মান নষ্ট হল, রাস্তায় ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল, তার উত্তর কে দেবে?”
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার অভিযোগ আগেই তুলেছিল তৃণমূল। এদিন মমতা বলেন, “বাংলায় কথা বলতে ভয় পান আপনারা। বাংলা রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুলের জন্ম দিয়েছে। বাংলা থেকেই লেখা হয়েছে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় স্তোত্র। বাংলা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। নবজাগরণ হয়েছে বাংলা থেকেই। বাংলার মাটি দুর্বৃত্তদের হবে না। বাংলার মানুষকে যদি বাংলা বলার জন্য বাইরে গ্রেফতার করা হয় এই লড়াই কিন্তু দিল্লিতে হবে। আমি কিন্তু ছাড়ার লোক নেই। দরকারে ভাষা আন্দোলন শুরু হবে। মনে আছে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কথা?”
ভাষা রক্ষা করার শপথ নিলেন মমতা। ২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি ও রবিবার বাংলা ভাষার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল করার ডাক মমতার। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগও আনলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “যাঁরা ভাবছেন মমতা-অভিষেককে গালাগালি দিয়ে তৃণমূলকে গুঁড়িয়ে দেবেন, বড় ভুল করছেন। কী ভেবেছো? ইডি-সিবিআই দিয়ে শেষ করবেন? চ্যালেঞ্জ রইল। ড্যামেজ ম্যানেজ করা যায় না। কত জনকে জেলে জায়গা দেবেন?”
আরও পড়ুন
ছাব্বিশের নির্বাচনের জয়ের স্লোগান বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “এবারের স্লোগান জব্দ হবে, স্তব্ধ হবে। তৃণমূল কর্মীদের খুন করেছে। আমরা এতদিন গায়ে হাত দিইনি। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখা যাবে না। তৃণমূলের দর্শন, বাম বিজেপি বিসর্জন। বিজেপিকে রাজনৈতিক বিসর্জন দিতে হবে।”