ম্যানচেস্টার টেস্টে জশপ্রীত বুমরাহ্’র খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি পুরোপুরি। যদিও টিম ইন্ডিয়ার আরেক পেসার মহম্মদ সিরাজ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ওল্ড ট্রাফোর্ডে নামবেন বুমরাহ্। তবু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ওয়ার্কলোডের বিষয়টি। টিম ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওয়ার্কলোডের বিষয়টি মাথায় রেখে ইংল্যান্ড সফরে ৩ টি টেস্ট খেলানো হবে বুমরাহ্কে। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হবে তাঁকে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোন দুই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হবে বুমরাহ্কে? টিম ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে যেহেতু এজবাস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেননি তিনি, তাই মনে করা হচ্ছে চতুর্থ টেস্টেও খেলবেন না। এ দিকে সিরিজে ১-২ পিছিয়ে থাকা ভারতীয় দলের কাছে ম্যানচেস্টার টেস্ট কার্যত ডু অর ডাই গেম। তাই এই ম্যাচে বুমরাহ্কে খেলানোর পরামর্শ দিচ্ছেন সমস্ত বিশেষজ্ঞই। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল ইরফান পাঠানের নামও।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসে ছোট পাঠান বলেছেন, “আমি সত্যিই জশপ্রীত বুমরাহ্’র কদর করি। তার দক্ষতা আমার খুব ভালো লাগে। সে অসাধারণ। তবে আমি বিশ্বাস করি যে যখন আপনি ভারতের হয়ে খেলেন, তখন আপনাকে আপনার সর্বস্ব দিতে হবে।” এরই সঙ্গে যোগ করেন, “যখন আপনি পাঁচ ওভারের স্পেলের কথা বলেন, যখন রুট আসেন, তখন আপনি ষষ্ঠ ওভার বল করছেন না। আপনাকে কিন্তু সর্বস্ব উজাড় করে দিতে হবে। হয় আপনি নিজেকে উজাড় করে দেবেন, নয়তো পুরোপুরি বিশ্রাম নেবেন। কারণ দল সবার আগে। তাই দেশের হয়ে যখন খেলবেন, দলের কথাই আগে ভাবতে হবে।”
আরও পড়ুন
ইরফান অবশ্য এরপরই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলের প্রতি বুমরাহ্’র অঙ্গীকার নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলেছেন না। তবে জানান, “বুমরাহ্কে যে অতিরিক্ত বোলিং করতে হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহই নেই। তবে দলের প্রয়োজনে যদি আপনাকে অতিরিক্ত কিছু করতে হয় তা হল সেটাই করতে হবে।” আরও বলেন, “ভারতের হয়ে নিয়মিত খেলা জিততে থাকলে বুমরাহ দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষে থাকবে। তবে দলের যখন প্রয়োজন তখন আপনাকে সেই অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করতেই হবে। যেটা বেন স্টোকস করেছেন এবং জোফরা আর্চার ৪ বছর পর ফিরে এসে করেছেন।”