শনিবার ১২৭ বছরের পুরনো কলকাতা লিগের রং ছিল লাল-হলুদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কলকাতা লিগের ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। খারাপ সময় কাটিয়ে মশাল হাতে ফের স্বপ্নের দৌড় শুরু লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবটির। ৩ দিন আগেই ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেড এফসিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিনো জর্জের ছেলেরা। শনিবার তাঁদের সামনে হার মানতে বাধ্য হয়েছে আইএসএল চ্যাম্পিয়নরাও। তবে চমকের শেষ কিন্তু এখানেই নয়। বরং চমকটা আসলে দিয়েছে শনিবারের দিনটি।
ডার্বি হওয়ার কথা ছিল আগের শনিবার। নিরাপত্তাজনিত কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া এক সপ্তাহ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোচ বিনো জর্জ এবং সামাজিক মাধ্যমে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসলে সেটাই জয়ের নেপথ্য কারণ। এ দিন কল্যাণী স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্টবেঙ্গলের তরফে যে পোস্ট করা হয় তাতে স্কোরলাইনের পাশাপাশি লেখা ছিল আরও কয়েকটি শব্দ।
‘২৬ জুলাই, রিমেম্বার দ্য ডেট।’
আসলে ২৬ জুলাই তারিখটি ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় দিন। ২০০৩ সালে এই দিনেই আশিয়ান কাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল দলটি। আবার ২২ বছর পর সেই দিনেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতল তারা। মামনি পাঠচক্রের কাছে হারের জেরে তলানিতে চলে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটা ফিরে এল স্বমহিমায়। দিনটি নিয়ে স্বভাবতই আবেগের জোয়ারে ভাসছে ক্লাব এবং সমর্থকেরা। এমনকী কোচ বিনো জর্জ পর্যন্ত জানিয়েছেন, জয়ের অন্যতম নেপথ্য কারণ শনিবারের তারিখটিই।
এতেই শেষ নয়। লাল-হলুদ কোচ এও জানান যে, টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকেক তাঁকে বলা হয়েছিল, এই দিনে হারা কোনও মতেই চলবে না। শনিবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের প্রশ্ন করার সুযোগই দেননি বিনো জর্জ। বরং নিজে থেকেই জানান, “আজকের দিনটা ইস্টবেঙ্গলের জন্য বিশেষ একটা দিন। এই দিনেই আশিয়ান কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে তাই আমাকে আগেই বলা হয়েছিল, এই দিনে হারা চলবে না।” শেষপর্যন্ত সে কথা রাখতে পারায় তিনি অত্যন্ত খুশি বলে জানিয়েছেন বিনো।