দেখতে দেখতে এক বছর পেরিয়ে গেল, এখনও কোনও নির্বাচিত সরকার নেই বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হলেও বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট এক বছর পরেও নির্বাচনের নাম-গন্ধ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বারবার মহম্মদ ইউনূসের কাছে দরবার করেছে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
এবার নির্বাচন পিছনোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার এক সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। মানুষ আশা করে, ৫ আগস্ট আপনারা নির্বাচনের তারিখ ও জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন।”
বাংলাদেশে বারবার নির্বাচনের দাবি উঠলেও এখনই তার জন্যে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে ব্যখ্যা করা হয়েছে।নানা সংস্কারের পথেও হেঁটেছে ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার।এদিন জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, এমন কথা বলে নির্বাচন পিছনোর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুলেছে বিএনপি। প্রথমে খালেদা জিয়ার দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচন করার দাবি তুলেছিল। পরে লণ্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের পর তা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে করার ব্যাপারে সুপারিশ করে বিএনপি।
তবে বাংলাদেশে সব দলই যে দ্রুত নির্বাচন চাইছে তা নয়। ডয়েচে ভেলে বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ জানিয়েছেন যে তাঁরা মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন চান। জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানিয়েছেন, “আমরা ফেব্রুয়ারিকে টাইম ফ্রেম ধরছি না। আমরা চাই প্রধান উপদেষ্টা যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন বলেছেন সেটাই যেন হয়। আর আমাদের সাত দফা দাবির বাস্তবায়ন চাই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই।”