আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরে একটি সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা! এই ঘটনায় ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর। ২৯ জুলাইসোমবার বুলসা প্রদেশের ডারগো এলাকায় এই হামলা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র জঙ্গি এই হামলা চালায়। তারা সেনা ঘাঁটিতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। পরে সেনা ঘাঁটিতে লুটপাট চালায় ও পরে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
এই হামলার পেছনে জামা’আত নাসর আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন বা সংক্ষেপে জেএনআইএম নামক আল-কায়েদা ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠী জেএনআইএম। বুরকিনা ফাসোসহ আশেপাশের দেশে বহু হামলার দায়ে তাদের দিকেই আঙুল উঠেছে বারবার।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার কোনো সরকারি বিবৃতি দেয়নি। এমনকি জঙ্গি হামলার কথা স্বীকারও করেনি। তবে সূত্র অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে চুপ থাকার পেছনে রয়েছে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বুরকিনা ফাসোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতা, দিনে দিনে জঙ্গি আক্রমণের বাড়বাড়ন্ত এবং গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জঙ্গিদের দখলদারি, সব মিলিয়ে দেশটিতে গত এক বছরে দু’বার সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে।
আরও পড়ুন
বর্তমান সেনা শাসক ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ত্রাওরেও জঙ্গি দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে জেএনআইএম ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন দেশের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনী উভয়কেই লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। এই হামলা শুধু সেনাবাহিনীর জন্য নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।