২৮ জুলাই অপারেশন মহাদেবের মাধ্যমে খতম করা হয়েছে পহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে। মঙ্গলবারই লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর বিতর্ক চলাকালীন এ তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এঁরা সকলেই লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি এবং সুলেমান শাহ ছিল ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড। তবে এর মধ্যেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে যে ওই তিন সন্ত্রাসবাদী ভারতে প্রবেশ করেছিল ৩ বছর আগেই। এক সরকারি কর্মকর্তার তথ্য উল্লেখ করে এই তথ্য দিয়েছে দ্য হিন্দু।
গোটা বিশ্বেই সন্ত্রাসবাদী হামলার ইতিহাসে ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে কাশ্মীরের পহেলগাম হত্যাকাণ্ড।এই হামলার পিছনে পাক জঙ্গিদের দের স্পষ্ট যোগ মেলায় ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তাদের ঘাঁটি তছনছ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া হলেও হাজার চেষ্টা করেও খোঁজ মিলছিল না পহেলগামের ওই হামলাকারীদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ অভিযান ‘অপারেশন মহাদেব’এ এই জঙ্গী হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীকে খতম করা হয়েছে। খতম হওয়া জঙ্গিরা হল সুলেমান ওরফে ফয়জল, আফগান এবং জিবরান।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
জানা গেছে পহেলগামের হামলার পর এই তিন জঙ্গি শ্রীনগর থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে ডাচিগামের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। গত বছরের ২০ অক্টোবর গান্দেরবালের গাগানগির এলাকায় একটি নির্মাণ সংস্থার কর্মীদের উপর হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল হামলাকারীদের নেতা সুলেমান। সেখানেও ৭ জন নিহত হন। ওই জঙ্গীদের বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য হল তিন বছর আগেই পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে তারা। ২০২৪ সালে সুলেমান ও মুসা নামের আর এক জঙ্গির নেতৃত্বে দুটি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। সুলেমানের দলে আরও কয়েকজন নতুন অনুপ্রবেশকারী যুক্ত হয়।এরাই সক্রিয়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল।
জানা যাচ্ছে এই জঙ্গিরা যোগাযোগের জন্য ২০-২৫ কিমি রেঞ্জের ‘আল্ট্রা হাই ফ্রিকোয়েন্সি’ ওয়্যারলেস সেট ব্যবহার করত।ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী গত ২২ মে প্রথম সেই সিগনাল ধরে ফেলে এবং তারপর থেকে ওই জঙ্গল ঘিরে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। এরপর পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমেই খতম করা হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন
মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন যে এই জঙ্গিদের ব্যবহৃত যন্ত্র শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনা সদস্যরা দিনের পর দিন পায়ে হেঁটে অনুসন্ধান চালিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে নিহত দুই জঙ্গির কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার কার্ড এবং পাকিস্তানি চকোলেট উদ্ধার হয়েছে।