গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বা জিজেএমকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হলেন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। উপস্থিত ছিলেন আরও দুই প্রতিনিধি।
এই সাক্ষাৎকে ঘিরে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এই বৈঠক শুধু সৌজন্যমূলক নয়, বরং পাহাড়ে আসন্ন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে পাহাড়ে উন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি দাবিদাওয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড়বাসীর ক্ষোভ ও বঞ্চনার চিত্রও উঠে এসেছে।
বিজেপি বহুদিন ধরেই গোর্খা জনজাতির স্বতন্ত্র পরিচয় ও অধিকার রক্ষার দাবিতে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এসেছে। অন্যদিকে, ২০২১-এ তৃণমূলের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিল গুরুং-গিরির নেতৃত্বাধীন জিজেএম। তবে পরবর্তীতে সেই সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছিল। এবার ফের শুভেন্দুর সঙ্গে নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে জল্পনা শুরু হয়েছে, পাহাড়ে বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই কি নতুন করে ‘বন্ধুত্ব’?
বৈঠকের পরে শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আজ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই বর্ষীয়ান নেতা বিমল গুরুং ও রোশন গিরি-র সঙ্গে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ের শান্তি, উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে আমরা একমত।
এই সাক্ষাৎ পাহাড়ের রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে বিজেপির ফের সক্রিয় অংশগ্রহণের বার্তা দিচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, আগামী দিনে গোর্খা ভোটব্যাঙ্ককে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হতে পারে পাহাড় ও সমতলের রাজনীতি।