শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল দিবস উপলক্ষ্যে জমকালো অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে চলেছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণি। ইস্টবেঙ্গলের এ বারের প্রতিষ্ঠা দিবসে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে আইএফএ শিল্ডজয়ের ৫০ তম বর্ষপূর্তি। ১৯৭৫ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ৫-০ হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতেছিলেন লাল-হলুদ যোদ্ধারা। এ বারের ইস্টবেঙ্গল দিবসে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে সেই ঐতিহাসিক সাফল্যই।
শিল্ড জয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হতে এখনও অবশ্য মাসদুয়েক বাকি। তবে তার আগেই শুক্রবার ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চলেছে ক্লাব। বেলা ১১টা নাগাদ ক্লাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল দিবস উদযাপন। এরপর রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চেই দেখানো হয় ১৯৭৫ সালের শিল্ডজয় নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও।
যদিও মূল অনুষ্ঠান বিকেলের পর। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানেই ইস্টবেঙ্গলের ভারত গৌরব সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক পি আর শ্রীজেশ। এর পাশাপাশি দুই জীবনকৃতি সম্মান তুলে দেওয়া হবে প্রাক্তন অধিনায়ক সত্যজিৎ মিত্র এবং মিহির বসুর হাতে। যদিও বিদেশে থাকায় সত্যজিৎ মিত্র আসতে পারবেন বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর হয়ে পুরস্কারটি নেবেন পরিবারের সদস্যরা।
ইস্টবেঙ্গল দিবসকে কেন্দ্র করে এ দিন কার্যত চাঁদের হাট বসতে চলেছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই থাকছে সঙ্গীতশিল্পী মনোময় ভট্টাচার্যের গান। এরপর একে একে পি আর শ্রীজেশ এবং অন্যান্য প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এ বার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাচ্ছেন শৌভিক চক্রবর্তী এবং সৌম্যা গুগুলথ। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের সম্মান দেওয়া হবে পিভি বিষ্ণুকে।
সেরা কোচ হিসেবে ‘পিকে ব্যানার্জি স্মৃতি সম্মান দেওয়া হবে সঞ্জয় সেন ও অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুকে। পুরস্কার দেওয়া হবে সেরা রেফারিরও। এই পুরস্কার পাচ্ছেন করুণা চক্রবর্তী ও কার্তিক ইন্দু। এর পাশাপাশি ‘প্রাইড অফ বেঙ্গল’ -এর স্বীকতি দেওয়া হবে ইস্টবেঙ্গল ও ভারতীয় মহিলা দলের ফুটবলার সঙ্গীতা বাসফোরকে। এ ছাড়া বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন কনিষ্ক শেঠ।সংবর্ধনা জানানো হবে গ্র্যান্ডমাস্টার আরণ্যক ঘোষকে।
