জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি কে হবেন, তার জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দেশের ১৭তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। নয় সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য গোটা দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে। ওই দিনই নির্বাচনী গণনা হবে এবং তা থেকেই স্পষ্ট হবে যে দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি কে হবেন। আগামী ৭ আগস্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশন পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য ধার্য করা হয়েছে ১৪ দিন। অর্থাৎ ২১ আগস্ট পর্যন্ত এই নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ২২ আগস্ট মনোনয়নপত্রগুলির যাচাইকরণ হবে এবং ২৫ আগস্টের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। উল্লেখযোগ্য ইতিমধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ বা ভোটার তালিকা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে রিটার্নিং অফিসার নিযুক্ত করে আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় আইন ও ন্যায়বিচার মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত ১৯৭৪ সালের বিধি মেনে নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন পরিচালনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। যেখানে এক বা একাধিক অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিযুক্ত হয়েছেন। রাজ্যসভার সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০২৫ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করায় ফের দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
নির্বাচন পরিচালনার নিয়মাবলি নির্ধারিত হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন আইন, ১৯৫২ এবং রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধি, ১৯৭৪ অনুযায়ী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখেই উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন পরিচালিত হবে।