গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অনুসরণ যোগ্য এমন কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ চোখে পড়েছে? ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ( টিআইবি) রিপোর্ট বলছে ‘একেবারেই না’।
টিআইবির বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, হাসিনা সরকারের পতনের দিন থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের একাংশ দলবাজি, চাঁদার জুলুম, মামলা মোকদ্দমা শুরু করে দেয় যা গত এক বছর ধরে বেড়েছে। করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলা।‘মব’ তৈরি, সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন, থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হয়েছে বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে প্রথম আলো সংবাদমাধ্যম।
‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন ও পরবর্তী এক বছরের ওপর পর্যবেক্ষণ’ বিষয়ক টিআইবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশে ইউনুস সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিচার, প্রশাসন, সংস্কার কমিশন, অর্থনীতি, মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ের উপর বিস্তারিত প্রাপ্তি ও ঘাটতি।
টিআইবি রিপোর্ট জানাচ্ছে বাংলাদেশে গত এক বছরে ৪৭১টি রাজনৈতিক হিংসায় ১২১ জন নিহত হয়েছেন, ৫ হাজার ১৮৯ জন আহত হয়েছেন। এসবের দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
রাজনৈতিক হিংসায় ৯২ শতাংশের সঙ্গে বিএনপি, ২২ শতাংশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ৫ শতাংশের সঙ্গে জামায়াত এবং ১ শতাংশের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি জড়িত ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৫ অগস্টের পর বাংলাদেশে বেশকিছু নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। টিআইবির অভিযোগ এর ফলে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের জন্মলগ্ন থেকে একই দখলদারি, চাঁদার হুমকি, একেবারে জাতীয় রোল মডেল অনুসরণ করেছে।
এরই পাশাপাশি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র দুজন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকায় সেই দলকে কিংস পার্টি আখ্যা দিয়েছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। অর্থাৎ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল। তাঁর দাবি এটা সত্যি, গোপন করার কিছুই নেই।