বেআইনি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের প্রচারে অংশগ্রহণের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর তলবে বুধবার হাজিরা দিলেন অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা। তিনি হায়দরাবাদের বশীরবাগে অবস্থিত ইডি অফিসে পৌঁছন বুধবার। পিএমএলএ (Prevention of Money Laundering Act – PMLA)-এর আওতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি মোট ২৯ জনকে তলব করেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম বিজয়।
সূত্রের খবর, তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে ইতিমধ্যেই জেরা হওয়া অন্যান্য ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য ও প্রমাণের সঙ্গে।
এই মামলাটি মূলত কিছু বেআইনি গ্যাম্বলিং অ্যাপকে ‘এন্টারটেনমেন্ট’ বা ‘চ্যারিটি ইনিশিয়েটিভ’-এর মোড়কে প্রচারের অভিযোগকে ঘিরে। ইডি-র সন্দেহ, কয়েকজন তারকা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে অর্থের বিনিময়ে সেই অ্যাপগুলির প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে, যা সরাসরি না হলেও, পরোক্ষভাবে বেআইনি বেটিং কার্যক্রমকে উৎসাহিত করেছে।
গত ৩০ জুলাই প্রথম এই মামলায় ইডির মুখোমুখি হন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রকাশ রাজ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘এই ঘটনা ২০১৬ সালের, আমি কোনওরকম অর্থ নিইনি। আধিকারিকরা তাঁদের কাজ করছেন, নাগরিক হিসেবে সহযোগিতা করাই দায়িত্ব।’ তিনি আরও বলেন, এই মামলায় কোনও রাজনৈতিক রং নেই।
এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি ইডি-র সঙ্গে সহযোগিতা করলেও, অনেকে সময় চেয়েছেন। অভিনেতা রানা দগ্গুবতি, যাঁর গত ২৩ জুলাই হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল, তিনি নতুন করে ডেট চেয়েছেন। অভিনেত্রী মঞ্চু লক্ষ্মীকে ১৩ অগস্ট হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই তদন্তে তেলাঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক এফআইআর-কে ভিত্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে ইউটিউবার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বরাও। ইডি এখন জানার চেষ্টা করছে, এই সমস্ত প্রচার একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, না কি এর পিছনে কোনও সংগঠিত বড় চক্র রয়েছে।
