বিহারের নতুন খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ যাওয়া ৬৫ লক্ষ নামের বিস্তারিত তথ্য নেই কেন? এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (এডিআর) ।
বিচারপতি সুর্য কান্ত, উজ্জ্বল ভুঁঞা এবং এন কে সিং-এর বেঞ্চের এডিআর এর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। আদালত এই বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে।
আদালতে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “খসড়া তালিকায় বলা হয়েছে যে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ৬৫ লক্ষ নামের কোনও তালিকা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে যে ৩২ লক্ষ মানুষ অন্যত্র গমন করেছেন, কিন্তু এ ছাড়া আর কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। নির্বাচন কমিশন যেন জানায়—এই ৬৫ লক্ষ কারা? কারা গমন করেছেন এবং কারা মৃত?
বিচারপতি সূর্য কান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব রাজনৈতিক দলকে এই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে, তাদের একটি তালিকা জমা দেবার জন্য।
“আমরা নিশ্চিত করব, যেসব ভোটারের ওপর এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে পারে, তারা যেন প্রয়োজনীয় তথ্য পান,” জানিয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত।
কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত আরও বলে, “শনিবারের মধ্যে একটি জবাব দাখিল করুন এবং সেটা যেন ভূষণ দেখতে পান। তারপর আমরা দেখতে পারব কী প্রকাশ করা হয়েছে আর কী নয়।”
এডিআর আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে—
১.এমন নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সমগ্র ও চূড়ান্ত বিধানসভা কেন্দ্র ও পার্ট/বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে ওই ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম ও বিস্তারিত থাকবে—যাদের গণনা ফর্ম জমা পড়েনি (ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য)। সেই সঙ্গে প্রতিটি নামের বিপরীতে ফর্ম জমা না পড়ার বা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণও উল্লেখ করতে হবে (যেমন—মৃত্যু, স্থানান্তর, ডুপ্লিকেট এন্ট্রি, অননুমেয়তা ইত্যাদি)।
২. কমিশন যেন বিধানসভা কেন্দ্র ও পার্ট/বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে যাদের গণনা ফর্ম বুথ লেভেল অফিসার-দের দ্বারা “অনুপযুক্ত” হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে (ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে)। এতে আবেদনকারী, সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো এই তথ্য যাচাই করতে পারবে।
এই বিষয়টি আগামী ১২ আগস্ট শুনানি হবে, যেখানে বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একাধিক আবেদনের সঙ্গে একত্রে শোনা হবে।