ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করতে গিয়ে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা সার শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এই পদ্ধতি চালু করায় ইতিমধ্যেই বিহারে ভোটার তালিকা থেকে কাটা গেছে বহু মানুষের নাম। তা নিয়ে বিস্তর হইচই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু কমিশনের এমন উদ্যোগকে ভালো এবং প্রয়োজনীয় বললেও তাতে গুরুতর কিছু শঙ্কার কথা শোনালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এতে তাড়াহুড়ো এবং পক্ষপাত থাকলে তার ফল মারত্মক হতে পারে। এতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ক্ষুন্ন করতে পারে এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।
অমর্ত্য সেনের শঙ্কা দ্রুত প্রস্তুত করা তালিকায়, বিশেষত দরিদ্র ও বঞ্চিত নাগরিকদের কাছ থেকে নথি না পাওয়ার কারণে মারাত্মক ভুল হতে পারে। শ্রেণিগত পক্ষপাতও এই তালিকা তৈরিতে বড় সমস্যার বা বিপদের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের মতো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বের কথা স্মরণ করেছেন তিনি। তাঁর মতে ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যাতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সন্দেহ সৃষ্টি না হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের উচিত তার নজরদারির ভূমিকা সক্রিয় ও ন্যায়সঙ্গতভাবে পালন করা।
সাক্ষাৎকারে বাংলাভাষা ও ‘বাংলাদেশি’ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন যে, ভারতের কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী অনেক বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। তাঁর মতে মুসলিম-বিরোধী মনোভাবের কারণে অনেক বাঙালিকে অন্যান্য ভারতীয়দের তুলনায় বেশিই বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়। দিল্লির অনেক প্রভাবশালী কর্তা বাংলা ভাষা’-কে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে মনে করেন। একে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন অমর্ত্য সেন। তবে বাংলায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকায় কোনও রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক মনোভাব ছড়ানোর চেষ্টা করলেও সফল হবে না বলেই মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
@Sandipan Biswas @Jnmt /Satyen Paul দেখে দেবেন প্লিজ