এ লড়াই সে লড়াই নয়, তবুও প্রায় আট দশকের পুরনো সংবিধান ক্লাবের সচিব পদে নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে মর্যাদার যুদ্ধ। কারণ এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের দুই হেভিওয়েট। লড়াইয়ের স্নায়ু যুদ্ধে বিহারের পাঁচবারের বিজেপি সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি ও তাঁর দলীয় সহকর্মী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. সঞ্জীব বালিয়ান।
কনস্টিটিউশন ক্লাব আসলে কী?এটি হল সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যা একসময় ভারতীয় সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের একটি ক্লাব ছিল।বর্তমানে এটি প্রাক্তন ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এখানে চলে সংবিধান, গণতন্ত্র এবং আইন বিষয়ক নানা আলোচনা ও কার্যক্রম। সাধারণত এখানে পদাধিকারীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নির্বাচিত হন।তথ্য বলছে এতদিনে মাত্র তিনবার ভোট হয়েছে।
এবারও সচিব (খেলাধুলা), সচিব (সংস্কৃতি) এবং কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের রাজীব শুক্লা, ডিএমকের তিরুচি শিভা এবং প্রাক্তন ভারত রাষ্ট্র সমিতি সাংসদ এপি জিতেন্দর রেড্ডি।তবে বড় পদ বা প্রশাসনিক সচিব পোস্ট নিয়েই মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে বিজেপির দুই নেতা।
গত দু- দশকে সংবিধান ক্লাবে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কৃতিত্ব দাবি করেছেন রাজীব প্রতাপ রুডি। কী কী বদল করেছেন তা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে শুধু দলীয় সহকর্মী নয় বিরোধী শিবিরের সাংসদদেরও শেয়ার করেছেন।তাঁর ভাষায়, “গত দুই দশকে সহকর্মীদের সঙ্গে আমরা একটি জরাজীর্ণ ভবনকে বিশ্বমানের প্রাণবন্ত ক্ষেত্রে রূপান্তর করেছি।” উল্লেখযোগ্য যে দু দশক আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে হারিয়ে এই পদে বসেছিলেন রুডি।
সেই পদেই এবার লড়াইয়ে নেমে রুডি নাকি কংগ্রেসসহ বিরোধী শিবিরের সমর্থন পাচ্ছেন।আর অন্যদিকে বড় অংশের বিজেপি সাংসদ নাকি বালিয়ানের পক্ষে। তবে দুই শিবিরেই চলছে ‘ডিনার কূটনীতি’ ও ডোর-টু-ডোর প্রচার।
Leave a comment
Leave a comment