রবিবার দিকে দিকে জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল। একই দিনে জোড়া ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল। একদিকে সান্ধ্য যুবভারতীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসকে ২-১ হারিয়ে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব। অন্যদিকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় প্রাক্তনীদের নিয়ে আয়োজিত একটি প্রীতি ম্যাচেও মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল।
রবিবার কলকাতার দুই প্রধানের প্রাক্তনীদের নিয়ে একটি প্রীতি ডার্বি আয়োজন করা হয়েছিল আগরতলার উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার স্বর্গীয় পিতা এম এল সাহার স্মরণে আয়োজন করা হয়েছিল এক ম্যাচের একটি প্রীতি প্রতিযোগিতা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা স্বয়ং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় এবং আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। এ ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবেসহ আরও একাধিক কেষ্টবিষ্টু।
চিরাচরিত প্রথায় ফুটবলে লাথি মেরে বাবার নামাঙ্কিত প্রীতি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। ম্যাচটি হয়েছে ৭০ মিনিটের। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর মোহনবাগান লেজেন্ডস দলকে টাইব্রেকারে ৫-৪ পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল লেজেন্ডস। ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় এম এল সাহা মেমোরিয়াল লেজেন্ডস কাপ।
সব মিলিয়ে জোড়া ডার্বি জিতে রবিবারের দিনটি স্মরণীয় করে রাখল ইস্টবেঙ্গল। একদিকে যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জিতলেন অস্কার ব্রুঁজোর ছেলেরা। অন্যদিকে আগরতলার উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করলেন লাল-হলুদ প্রাক্তনীরা। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মত বড় দলগুলির খেলোয়াড়দের এনে এধরনের খেলার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য একটাই। তা হল রাজ্যের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করা।”