মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনআরসি-র জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে কল্যাণী এইমস-এর প্রতিনিধিরা। নিজেদের কর্মী কম থাকায় এই সমীক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। সোমবার নবান্নে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কাজ রাজ্য সরকারের করার কথা সেই কাজ কেন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দিয়ে করাচ্ছে কল্যাণী এইমস? এই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা হুঁশিয়ারি “এই খেলা খেলবেন না”। রাজ্যবাসীকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই ঘটনার মোকাবিলায় তিন মন্ত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পঞ্চায়েত স্তরে সমস্ত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ রাখবেন এবং তাদেরকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে বলবেন। রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার পাশাপাশি সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেবেন। রাজ্যের বিদ্যুৎ ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সমস্ত বিধায়কের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ ও সমন্বয় রেখে চলবেন। যাতে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলেই চটজলদি রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এ ধরনের পরিকাঠানো থাকা সত্ত্বেও এবং যে কাজ রাজ্য সরকারের করার কথা সেখানে কল্যাণী এইমস মানসিক স্বাস্থ্যের সমীক্ষার নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। রাজ্যবাসীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “কোনও সংস্থা বা এজেন্সি যদি বাড়িতে এসে কোনও তথ্য জানতে চায় তাহলে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি না থাকলে কারুর কাছে তথ্য তুলে দেবেন না। এজেন্সির মাধ্যমে তথ্য নিয়ে আপনাদেরই বিপদে ফেলবে।” প্রয়োজনে এ ধরনের সমীক্ষা নিয়ে তথ্য দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারি দপ্তর থেকে গোটা বিষয়টি জেনে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।