কলকাতায় ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গত সপ্তাহেই বেহালার পর্ণশ্রীতে মৃত্যু হয়েছে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের। পর্ণশ্রীর বাসিন্দা অরিজিৎ দাসের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ডেঙ্গির। পুজোর আগে এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে বাড়তি সতর্ক কলকাতা পুরসভা। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের দিকে বাড়তি নজর। জল জমে যেন মশাবাহিত রোগ না ছড়ায়। বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করছে পুরসভা। শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে প্যান্ডেলের কাঠামোয় ব্যবহৃত বাঁশে যাতে জল জমতে না পারে সেদিকে জোর দিতে বলা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার সাতটি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কিছু অংশকে ডেঙ্গিপ্রবণ বলে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। এই এলাকাগুলিতে যাতে কোথাও জল বা জঞ্জাল না জমে থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে পুরসভা। মশা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গোটা রাজ্যে। আশঙ্কা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টও। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ দিনে, রাজ্যের ১৬টি জেলায়, নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৩। ২৪ জুন পর্যন্ত যেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৬১। ১৩ অগাস্ট বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৪। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজ্যের ১৬ টি জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। উত্তরবঙ্গের মধ্যে একমাত্র মালদহ বাদে বাকি ১৫টি জেলাই দক্ষিণবঙ্গের। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তৃতীয় স্থানে হুগলি। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে মালদহ ও হাওড়া। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা। চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, আক্রান্তদের বেশিরভাগই ভুগছেন টাইপ টু ডেঙ্গিতে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। ২০২৩ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দেয় ১২ বছরের রেকর্ড। ওই বছর রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার জন। তার পরের বছর আক্রান্ত হন ৩১ হাজার ১০০ জন।
