উপরাষ্ট্রপতি পদে এবার জমজমাট লড়াই দুই দক্ষিণীর। দুদিন আগেই এনডিএ উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণা করেছিল। এবার ইন্ডিয়া জোটও উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে একজন দক্ষিণীকেই বেছে নিল।ইন্ডিয়া জোট উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে।
সুদর্শন অন্ধপ্রদেশের বাসিন্দা। অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুই দক্ষিণী প্রার্থীর মধ্যে জমজমাট লড়াই।
মঙ্গলবার দুপুরে এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রধান শরদ পাওয়ারকে পাশে নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ইন্ডিয়া জোট উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী দেওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। ২১ জুলাই বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনে ইস্তফা দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। জগদীপের শূন্য আসন পূরণে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ আগেই তাদের প্রার্থী হিসেবে সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণা করেছে। এনডিএ এই নির্বাচনে দায়িত্ব দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই বিভিন্ন দলের সমর্থন আদায়ের কাজ শুরু করেছে এনডিএ।
বিরোধীরা যাতে প্রার্থী না দেয় সে বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে এজন্য ফোন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিরোধীদের সমর্থন আদায়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও।
কিন্তু এনডিএ শিবিরের সেই অনুরোধ যে কাজে এল না উপরাষ্ট্রপতি পদে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী ঘোষণা তারই প্রমাণ।
ইন্ডিয়া জোটের এই প্রার্থীকে নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দল তেলুগু দেশম। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে বিষয়টি এখন শাঁখের করাত হয়ে গিয়েছে। কারণ সুদর্শন রেড্ডি আদতে অন্ধপ্রদেশের বাসিন্দা। দুদিন আগেই এনডিএ জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু সুদর্শন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা হওয়ায় তাঁকে সমর্থনের জন্য একটা চাপ থাকতে পারে টিডিপির উপর। স্বাভাবিকভাবেই নিজের রাজ্যের একজনকে সমর্থন করা প্রত্যাশিত ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত ফলাফল যাই হোক না কেন, শাসক ও বিরোধী শিবিরের দুই দক্ষিণী প্রার্থীর লড়াইয়ে জমজমাট হতে চলেছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন।