সদ্য নয়াদিল্লিতে বৈঠক শেষে লিপুলেখ পাস, শিপকি লা পাস ও নাথু লা পাস দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও চিন। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বিস্তৃত আলোচনার পর প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এই তথ্য সামনে আসার পরেই কালাপানি-লিপুলেখ-লিম্পিয়াধুরা অঞ্চলের মধ্যে যাওয়া হিমালয়ান পাস দিয়ে ভারত-চিন বাণিজ্য ফের চালু করার বিরোধিতা করেছে নেপালের বিদেশ মন্ত্রক। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লোক বাহাদুর ছেত্রীর জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এলাকায় ভারত রাস্তা নির্মাণ বা সম্প্রসারণ, কিংবা সীমান্ত বাণিজ্য চালুর মতো কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, যা নেপাল সরকার বারবার আপত্তি জানিয়েছে। আমরা চিন সরকারকেও জানিয়েছি যে এ অঞ্চল নেপালের ভূখণ্ড।”
যদিও ভারত বুধবার নেপালের এই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। ভারত কাঠমান্ডুর এই ভূখণ্ডের দাবিকে অন্যায্য, অগ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক ভাবে সত্যি নয় বলেও অভিহিত করেছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “ভারতের অবস্থান সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং স্পষ্ট। আমরা নেপালের বিদেশ মন্ত্রকের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্ত বাণিজ্য ফের শুরু করা সংক্রান্ত মন্তব্য লক্ষ্য করেছি। ১৯৫৪ সালে লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল এবং এটি কয়েক দশক ধরে চলছে। কোভিড এবং অন্যান্য ঘটনার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ব্যবসা ব্যাহত হলেও এখন দু-পক্ষই এটা ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে।”
তথ্য বলছে, নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ১,৮৫০ কিমিরও বেশি, যা সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডকে স্পর্শ করেছে। নেপাল এর আগে ২০২০ সালের ১৮ জুন সংবিধান সংশোধন করে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানি অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে।