কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলকে (SIT) ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধর্মস্থল গণকবর মামলার মূল অভিযোগকারীকেই শনিবার গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি, যিনি আগে ধর্মস্থল মন্দির প্রশাসনে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন, দাবি করেছিলেন যে তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে একাধিক স্থানে ৭০-৮০টি দেহ কবর দিতে দেখেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যে খুলি প্রমাণ হিসেবে প্রথমে দেখিয়েছিলেন, তা ছিল নকল। পরবর্তীতে মিথ্যা সাক্ষ্য ও ভুয়ো প্রমাণ দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফথার করা হয়।
অভিযোগকারীকে শুক্রবার রাতভর জেরা করা হয় এবং শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় তাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলা হবে।
তাঁর দাবি ছিল, মোট ১৫টি জায়গায় কবর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এসআইটি শুধুমাত্র একটি জায়গায় (স্পট নং ৬) একজন পুরুষের কঙ্কাল উদ্ধার করতে পেরেছে।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, কিছু কবরস্থান হয়ত ভূমিক্ষয়, জঙ্গল বেড়ে ওঠা বা নির্মাণকাজের ফলে হারিয়ে গেছে।
স্থানীয় লোকজন দিনের বেলায় একাধিক দেহ কবর দিতে দেখলেও কেউ বাধা দেয়নি বলে তাঁর দাবি।
তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, এক দশকের বেশি সময়ে কবর দেওয়া কিছু দেহে যৌন নিপীড়নের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ানও দিয়েছেন।
তবে মন্দিরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “মন্দিরের নাম খারাপ করে আমি কী পাব? আমি নিজেই হিন্দু, তফসিলি জাতি থেকে এসেছি।”
সম্প্রতি কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বিধানসভায় জানিয়েছেন, যদি এসআইটি অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ করে, তবে আইনের আওতায় অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।