গ্রেফতারির পরে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ব্যাঙ্ক নথি যাচাই করে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকেরা। জানা যাচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং চালকের নামে রেজিস্টার করা সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে ইডি।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে তদন্তকারীরা চেষ্টা করেছেন, চাকরির জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা কতটা জড়িত ও তার পরিমাণই বা কত তা জানতে।
সোমবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে ( যদিও জাজবাত২৪বাংলা তার সত্যতা যাচাই করে নি) যাতে জীবনকৃষ্ণ সাহার কথা শোনা যাচ্ছে।একটিতে তিনি বর্ধমানের জনৈক দীপক মণ্ডলকে কিস্তিতে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ও অন্যটিতে তিনি কারও কাছে পুজোর আগে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জীবনকৃষ্ণ সাহার এবং তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে, যা সন্দেহজনক বলে মনে করছে ইডি। জানা যাচ্ছে মাত্র চার মাসে (২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে) এই টাকা জমা পড়েছে বিধায়কের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে।২০২১ সালের নির্বাচন হলফনামায় জীবনকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছিলেন, তাঁর মোট ব্যাংকে জমা সম্পত্তি ছিল ১.৬ কোটি টাকা, ব্যাংক ব্যাল্যান্স মাত্র ৪৪,৫৯০টাকা এবং জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.৪ কোটি টাকার। এর মধ্যে বীরভূমে কৃষিজমি ১.২ কোটি টাকার মতো।২০১৯–২০ অর্থবছরের আয় ছিল ৫.৪ লক্ষ টাকা।
সোমবারই জীবনকৃষ্ণকে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে ইডি। কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে পেশ করে ছ’দিনের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা। আদালতে ইডি-র আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী ও ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে বিধায়ক পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং মোবাইল ফোন নালায় ফেলে দিয়েছিলেন।
যদিও আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন গত দেড় বছর জীবনকৃষ্ণ সাহা তদন্তে সহযোগিতা করেছেন।