রামধাক্কা না হলেও আদালতের রায়ে ভালই ধাক্কা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি পণ্যের ওপর ব্যাপক কর আরোপ করাটাকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমার অপব্যবহার বলে আদালতের রায়ে বলা হয়েছে।
গত ২রা এপ্রিলকে ‘লিবারেশন ডে’ নামে অভিহিত করে ট্রাম্প কিছু দেশের ওপর ৫০% পর্যন্ত প্রতিশোধমূলক শুল্ক এবং প্রায় সব দেশের ওপর ১০% বেসিক ট্যারিফ আরোপ করেছিলেন। যদিও পরে ৯০ দিনের জন্য তিনি এই শুল্ক স্থগিত করা হয় যাতে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে পারে।মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের এই সিদ্ধান্তকেই শুক্রবার বেআইনি বলে জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকার ফেডারেল সার্কিটের আপিল আদালত। জানানো হয়েছে,এ ভাবে শুল্ক আরোপ করা যায় না।
আপিল আদালত শুক্রবার জানায়, জাতীয় জরুরি অবস্থার অজুহাতে প্রায় সব দেশের ওপর আমদানি কর চাপিয়ে ট্রাম্প সীমা অতিক্রম করেছেন।তবে এখনই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।এক্ষেত্রে ট্রাম্পকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।কারণ ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের যুক্তির পিছনে রয়েছে ১৯৭৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল এমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট।তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতিকে “জাতীয় জরুরি অবস্থা” বলে ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপরও একই আইনের মাধ্যমে শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কর আরোপের ক্ষমতা মূলত কংগ্রেসের। দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস ধীরে ধীরে প্রেসিডেন্টদের শুল্ক সংক্রান্ত কিছু ক্ষমতা দিলেও, ট্রাম্প সেটিকে এমন মাত্রায় ব্যবহার করেছেন যা এর আগে সম্ভবত কেউ করেন নি।