দীর্ঘ যানজটের কারণে সময় মতো ফেলা গেল না রেলগেট। ফলে আটকে পড়ল একের পর এক লোকাল ট্রেন। শনিবার দমদম ক্যান্টনমেন্ট ও দুর্গানগরের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে যাত্রীদের দাবি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ- বারাসত শাখায় এদিন ট্রেন চলাচলে যথেষ্ট দেরি হয়। যদিও ট্রেন চলাচলে সমস্যার কথা মানতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে দমদম ক্যান্টনমেন্ট ও দুর্গানগর স্টেশনের মাঝামাঝি সংলগ্ন রাস্তায় ছিল ব্যাপক যানজট। মাত্রাতিরিক্ত যানজটের ফলে সময়মতো রেলগেট নামানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে শিয়ালদহ- বারাসত শাখায় এদিন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক লোকাল ট্রেন। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে চরম সমস্যায় পড়েন রেল যাত্রীরা। পুজোর আগে রাস্তায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে রেল গেটের কাছে পুলিশ ও রেল কর্মীদের যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সূত্রের খবর, গেট নামানোয় একাধিক গাড়ি আটকে পড়ে রেল লাইনের মাঝে। যে কারণে আটকে পড়ে আপ ও ডাউন একাধিক লোকাল ট্রেন।
দমদম ক্যান্টনমেন্ট ও দুর্গানগরের দূরত্ব মাত্র দু কিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রেলগেট বা লেভেল ক্রসিং। রেলগেটগুলিতে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বহু যাত্রী বাধ্য হয়ে ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছন। বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেছেন, একই সমস্যা বনগাঁ লাইনেও। যাত্রীদের অভিযোগ, বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেট এবং হাবড়ার ১ ও ২ নম্বর রেলগেট-সহ অশোকনগর এমনকি, দত্তপুকুর ও নিউ ব্যারাকপুরে মাঝেও যানজটের কারণে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। রেল কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও বিষয়টির কোন সুরারা হচ্ছে না বলে যাত্রীদের দাবি।
যদিও পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তেমন বড় ধরনের কোনও ট্রেন লেটের ঘটনা ঘটেনি। যানজটের কারণে সাময়িক কয়েকটি ট্রেন কিছুটা বিলম্বে চলেছে।
