আমেরিকায় অবৈধ ভাবে বসবাসকারী অন্য দেশের নাগরিকদের চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এনিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের অভিযোগও উঠেছে। এবার সামনে এল গুয়াতেমালার ৭০০ শিশুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার খবর। জানা গেছে, শিশুরা অভিভাবক ছাড়াই সেখানে পৌঁছেছিল। ওরেগনের সেনেটর রন ওয়াইডেন শুক্রবার এক চিঠিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এই খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সেনেটর রন ওয়াইডেন সতর্ক করে বলেছেন যে এই পদক্ষেপ করা হলে তা শরণার্থী পুনর্বাসন দফতরের দায়িত্ব এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন দায়বদ্ধতা নীতির লঙ্ঘন হবে। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ওই শিশুদের পরিবার, আইনজীবী ও সহায়তাপ্রাপ্ত নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদের ফিরিয়ে দেবে সেই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে যেখান থেকে তারা সাহায্যের আশ্রয় চাইছিল।”
তাহলে এই অভিভাবকহীন শিশুরা যাবে কোথায়? মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা জানিয়েছে, তারা এই নাবালকদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। গুয়াতেমালার বিদেশমন্ত্রী কার্লোস মার্টিনেজ জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আটক শত শত নাবালককে দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জানা গেছে, এখন প্রায় ৬০০ শিশুর ফেরত পাঠানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা আগের নির্ধারিত সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ।
শিশুদের ফেরত পাঠানোর এই উদ্যোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমিগ্রান্ট ডিফেন্ডার্স ল’ সেন্টারের প্রধান লিন্ডসে টজিলোভস্কি। তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “আমরা অভিবাসী শিশুদের অধিকারের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন আক্রমণাত্মক নীতিতে ক্ষুব্ধ। একে সাধারণ ‘পুনর্বাসন’ বলে আড়াল করার চেষ্টা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”